
আল আমিন প্রতিনিধি নওগাঁ
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত প্রার্থী ডা. ইকরামুল বারী টিপুর মনোনয়নের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে মান্দা সেতু (ফেরিঘাট) এলাকায় নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অংশ নেন।
বিক্ষোভে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও দলীয় পতাকা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
তারা “বিতর্কিত প্রার্থী ডা. টিপু বাদ, ত্যাগী নেতা এম এ মতিনকে প্রার্থী চাই” এবং “তৃণমূলের রায় মানতে হবে”সহ নানা স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মান্দা উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এম এ মতিন দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
আন্দোলন-সংগ্রাম, মিটিং-মিছিল, গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি ছিলেন অগ্রভাগে।
তবুও তাকে উপেক্ষা করে বিতর্কিত ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. ইকরামুল বারী টিপুকে মনোনয়ন দেওয়া তৃণমূলের সঙ্গে চরম অবিচার বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
তারা বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডা. টিপু বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের পক্ষে কাজ করেছিলেন, যার ফলে দলীয় প্রার্থী পরাজিত হয়েছিলেন।
এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে পুনরায় প্রার্থী ঘোষণা করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে ডা. টিপুর মনোনয়ন স্থগিত করে পরীক্ষিত, ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা এম এ মতিনকে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে প্রার্থী ঘোষণার জোর দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বলেন, মান্দা বিএনপি সব সময় ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের কাতারে ছিল।
এমন সময় ভুল প্রার্থী মনোনয়ন দিলে তৃণমূলের উদ্দীপনা ও ঐক্য ভেঙে যাবে।
তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য রক্ষার স্বার্থে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিএনপি ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. ইকরামুল বারী টিপুর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ঘোষণার পর থেকেই মান্দা জুড়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এর আগে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বৈঠকগুলোতে অধিকাংশ নেতা-কর্মী এম এ মতিনের প্রতি আস্থা ও সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন বলে জানা গেছে।




















