০১:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

মাদকের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • 35

কুমিল্লায় ওসিদের বিরুদ্ধে বিভাগের ব্যবস্থা চান নাগরিকরা” বের হতে বলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ওপর হামলা, দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাসের কারাদণ্ড কুমিল্লায় র‌্যাব-১১ এর অভিযানে ৩৮ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার স্মরণে –

কুমিল্লা কোতোয়ালী থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার কিবরিয়া ভাই এসআই জনি কান্তি দে–র বিরুদ্ধে আসামি ছাড়ানোর অভিযোগ: ‘২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আসামি মুক্তি’—আইনের লোকই আইন ভাঙছেন? কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা বিতর্কে মায়ের কোলে ফিরলো দশ মাসের শিশু:

সদর দক্ষিণ থানার ওসি সেলিম আহমেদের মানবিক উদ্যোগ অপরাধ দমনে র‌্যাব-১১ এর সফলতা: কেরানীগঞ্জ থেকে শিশুধর্ষণ মামলার আসামি আটক। মহোদয়, সদর দক্ষিণ সার্কেল অফিসার (মি. ফেরদৌস) সদর দক্ষিণ থানা, কুমিল্লা।

ব্রাহ্মণপাড়ায় ইউপি সদস্যদের দিকনির্দেশনা: ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হবে অপরাধমুক্ত সমাজ’ — ওসি সাজেদুল ইসলাম “নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠ: সাংবাদিক নিরাপত্তায় রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের দাবি কুমিল্লায়” প্রচ্ছদ বাংলাদেশ মাদকের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের অভিযোগ—কুমিল্লায় ওসিদের বিরুদ্ধে বিভাগের ব্যবস্থা চান নাগরিকরা”

কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে তীব্র সন্দেহ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রসহ অনুসন্ধানী তথ্য বলছে—জেলার বিভিন্ন থানার বেশ কিছু অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাদক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার পাওয়া যাচ্ছে।

নাগরিক সমাজের প্রশ্ন—যতক্ষণ পর্যন্ত সততা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের মানদণ্ডে সৎ অফিসার ইনচার্জ নিয়োগ দেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কুমিল্লাকে মাদকমুক্ত রাখা সম্ভব নয়।

অভিযোগ আরও গুরুতর

অনেক ঘটনায় দেখা যায়—ওসিদের নির্দেশে তাদেরই অধীনস্থ সাব-ইন্সপেক্টর বা অন্য অফিসাররা মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও, টাকার বিনিময়ে মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত না করে নিজেরাই রেখে দেয় এবং আসামিকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি,
এভাবে জব্দ করা মাদক আবার অন্য আরেকজন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়—যার অর্থ হলো, পুলিশই পরোক্ষভাবে মাদক বাণিজ্যের অংশ হয়ে যাচ্ছে।

এমন গুরুতর অভিযোগের পর প্রশ্ন উঠেছে

এসব কর্মকাণ্ড কি কখনো ওসি বা পুলিশ সুপার পর্যায়ে সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে?
না হলে, সাধারণ মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে?

মিটিং-সেমিনারে সমাধান না

জেলার থানাগুলোর বহু বিচার বছরের পর বছর ঝুলে আছে। নিয়মিত মাসিক মিটিং, নির্দেশনা ও ব্রিফিংয়ের পরও পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু সভা বা নির্দেশনা দিয়ে মাদকচক্র ভাঙা যাবে না; তার জন্য প্রয়োজন প্রশাসনের ভেতরে কঠোর শুদ্ধি অভিযান।

সরিষার মধ্যেই ভূত?

অনুসন্ধানী সূত্রের ভাষায়—

“যেই সরিষা দিয়ে ভূত তাড়ানোর কথা, সেই সরিষাতেই যখন ভূত থাকে—তখন সমাধান কোথায়?”
অর্থাৎ, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাই মাদক কারবারের সুবিধাভোগী হন, তবে মাদকমুক্ত কুমিল্লা কেবল স্বপ্নই থেকে যাবে।

শীর্ষ পর্যায়ের নজরদারি প্রয়োজন

এ অবস্থায় কুমিল্লাকে মাদকমুক্ত রাখতে পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এবং আইজিপি’র কার্যকর ভূমিকা জরুরি হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক প্রভাব বা অভ্যন্তরীণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নয়—সততা, স্বচ্ছতা ও কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণই এখন সময়ের দাবি।

অনেকের আশঙ্কা—দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কুমিল্লা জেলা মাদকবিরোধী যুদ্ধে আরো বড় সংকটে পড়বে

জনপ্রিয়

২০১৮ সালে সংসদে যাওয়া দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল

মাদকের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

কুমিল্লায় ওসিদের বিরুদ্ধে বিভাগের ব্যবস্থা চান নাগরিকরা” বের হতে বলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ওপর হামলা, দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাসের কারাদণ্ড কুমিল্লায় র‌্যাব-১১ এর অভিযানে ৩৮ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার স্মরণে –

কুমিল্লা কোতোয়ালী থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার কিবরিয়া ভাই এসআই জনি কান্তি দে–র বিরুদ্ধে আসামি ছাড়ানোর অভিযোগ: ‘২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আসামি মুক্তি’—আইনের লোকই আইন ভাঙছেন? কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা বিতর্কে মায়ের কোলে ফিরলো দশ মাসের শিশু:

সদর দক্ষিণ থানার ওসি সেলিম আহমেদের মানবিক উদ্যোগ অপরাধ দমনে র‌্যাব-১১ এর সফলতা: কেরানীগঞ্জ থেকে শিশুধর্ষণ মামলার আসামি আটক। মহোদয়, সদর দক্ষিণ সার্কেল অফিসার (মি. ফেরদৌস) সদর দক্ষিণ থানা, কুমিল্লা।

ব্রাহ্মণপাড়ায় ইউপি সদস্যদের দিকনির্দেশনা: ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হবে অপরাধমুক্ত সমাজ’ — ওসি সাজেদুল ইসলাম “নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠ: সাংবাদিক নিরাপত্তায় রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের দাবি কুমিল্লায়” প্রচ্ছদ বাংলাদেশ মাদকের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের অভিযোগ—কুমিল্লায় ওসিদের বিরুদ্ধে বিভাগের ব্যবস্থা চান নাগরিকরা”

কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে তীব্র সন্দেহ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রসহ অনুসন্ধানী তথ্য বলছে—জেলার বিভিন্ন থানার বেশ কিছু অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাদক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার পাওয়া যাচ্ছে।

নাগরিক সমাজের প্রশ্ন—যতক্ষণ পর্যন্ত সততা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের মানদণ্ডে সৎ অফিসার ইনচার্জ নিয়োগ দেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কুমিল্লাকে মাদকমুক্ত রাখা সম্ভব নয়।

অভিযোগ আরও গুরুতর

অনেক ঘটনায় দেখা যায়—ওসিদের নির্দেশে তাদেরই অধীনস্থ সাব-ইন্সপেক্টর বা অন্য অফিসাররা মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও, টাকার বিনিময়ে মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত না করে নিজেরাই রেখে দেয় এবং আসামিকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি,
এভাবে জব্দ করা মাদক আবার অন্য আরেকজন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়—যার অর্থ হলো, পুলিশই পরোক্ষভাবে মাদক বাণিজ্যের অংশ হয়ে যাচ্ছে।

এমন গুরুতর অভিযোগের পর প্রশ্ন উঠেছে

এসব কর্মকাণ্ড কি কখনো ওসি বা পুলিশ সুপার পর্যায়ে সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে?
না হলে, সাধারণ মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে?

মিটিং-সেমিনারে সমাধান না

জেলার থানাগুলোর বহু বিচার বছরের পর বছর ঝুলে আছে। নিয়মিত মাসিক মিটিং, নির্দেশনা ও ব্রিফিংয়ের পরও পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু সভা বা নির্দেশনা দিয়ে মাদকচক্র ভাঙা যাবে না; তার জন্য প্রয়োজন প্রশাসনের ভেতরে কঠোর শুদ্ধি অভিযান।

সরিষার মধ্যেই ভূত?

অনুসন্ধানী সূত্রের ভাষায়—

“যেই সরিষা দিয়ে ভূত তাড়ানোর কথা, সেই সরিষাতেই যখন ভূত থাকে—তখন সমাধান কোথায়?”
অর্থাৎ, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাই মাদক কারবারের সুবিধাভোগী হন, তবে মাদকমুক্ত কুমিল্লা কেবল স্বপ্নই থেকে যাবে।

শীর্ষ পর্যায়ের নজরদারি প্রয়োজন

এ অবস্থায় কুমিল্লাকে মাদকমুক্ত রাখতে পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এবং আইজিপি’র কার্যকর ভূমিকা জরুরি হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক প্রভাব বা অভ্যন্তরীণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নয়—সততা, স্বচ্ছতা ও কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণই এখন সময়ের দাবি।

অনেকের আশঙ্কা—দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কুমিল্লা জেলা মাদকবিরোধী যুদ্ধে আরো বড় সংকটে পড়বে