০১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভুরুঙ্গামারীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হায়দার আলীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া

  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • 60

স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শাহজাহান বাশার

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলার বিশিষ্ট কাঁচামাল ব্যবসায়ী হায়দার আলী (৬৫) আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কাঁচামাল সরবরাহ করতেন এবং সততা ও ন্যায্য বাণিজ্যের জন্য ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছিলেন।

গত সোমবার নাগেশ্বরীতে একটি মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় হায়দার আলী গুরুতর আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি প্রচণ্ড আঘাত পান; তার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং একাধিক পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হায়দার আলীর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই কামাত আঙ্গারিয়া ও আশেপাশের গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, ব্যবসায়ী মহলসহ সাধারণ মানুষ তার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তিনি ছিলেন সৎ, পরিশ্রমী ও উদার মনের একজন মানুষ, যিনি ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক কাজেও আন্তরিকভাবে অংশ নিতেন।

মৃত্যুকালে হায়দার আলী স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জনপ্রিয়

উখিয়ায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে

ভুরুঙ্গামারীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হায়দার আলীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া

প্রকাশের সময় : ০৪:১৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শাহজাহান বাশার

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলার বিশিষ্ট কাঁচামাল ব্যবসায়ী হায়দার আলী (৬৫) আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কাঁচামাল সরবরাহ করতেন এবং সততা ও ন্যায্য বাণিজ্যের জন্য ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছিলেন।

গত সোমবার নাগেশ্বরীতে একটি মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় হায়দার আলী গুরুতর আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি প্রচণ্ড আঘাত পান; তার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং একাধিক পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হায়দার আলীর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই কামাত আঙ্গারিয়া ও আশেপাশের গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, ব্যবসায়ী মহলসহ সাধারণ মানুষ তার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তিনি ছিলেন সৎ, পরিশ্রমী ও উদার মনের একজন মানুষ, যিনি ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক কাজেও আন্তরিকভাবে অংশ নিতেন।

মৃত্যুকালে হায়দার আলী স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।