
মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চলো জী ভাই, হাঁরঘে পদ্মা বাঁচায়। পদ্মা আমাদের এ এলাকার মানুষের জীবন। ফারাক্কার ব্যারেজের কারণে খড়ার সময় পদ্মার পানি থাকে না আর বর্ষার সময় পানি ছাড়ার পর বন্যায় ডুবে যায়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদ্মার পানি পাবো। কোন দয়া নয়, সঠিক পাওয়া হিস্যা বাংলাদেশের। জনগণের শক্তি যদি দাঁড়াতে না পারে, তাহলে এ পদ্মার পানি পাওয়া যাবে না।
বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ আন্দোলনের অংশ হিসেবে পদ্মা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে সমন্বয় কমিটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আয়োজিত গতকাল শনিবার বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত সরকার না থাকলে সেই গুরুত্ব বা শক্তিটা পাই না।
তাই বিএনপি যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বে আসতে পারে তাহলে নিঃসন্দেহে এগুলো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে এবং ফারাক্কা ও তিস্তা ইস্যুতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। ভারত পাশে আছে, পানি বন্ধ করে দিবে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করবে।
আমাদের ওপর দাদাগিরি দেখতে চাই না। ভারত আমাদের সমান মর্যাদা না দিলে, কোনদিনই ভারত আমাদের বন্ধু হিসেবে পাবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন।
কয়েক বছর কারাগারে থেকেছে এবং তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হওয়ার পর তিনি তার বাড়িতে ফিরে যান। তিনি পদ্মা বাঁধের জন্য সম্মতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, সংস্কারের সনদে ১৭ অক্টোবর পার্লামেন্টের সামনে সই করলাম এবং একমত হলাম। এখন হঠাৎ করেই সেই দলটি বকতে শুরু করেছে, না আমাদের পিআর দরকার। পিআর বোঝেন, পিআর মানে তারা লাফিয়ে ওঠে ক্ষমতায় যাবে।
এদেশের মানুষ ধর্মপ্রিয়, ধর্মকে ভালবাসে। আল্লাহ’র নবীকে ভালবাসে ও বিশ্বাস করে। কিন্তু মানুষ ধর্মান্ধ নয় এবং সাম্প্রদায়িক নয়। জামায়াতে ইসলাম কত ভাগ ভোট পেয়েছেন, এ আসনে পেয়েছে ৫/৬ ভাগ। তারা রাতারাতি লাফ দিয়ে ৫১ ভাগে যাবেন, এটা মনে করবেন না। দেশের মানুষ আপনাদেরকে সহজে ভোট দিবে না. কারণ আপনাদেরকে তারা বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে বের হয়ে আসার জন্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। তখন আপনারা বিরোধীতা করেন নাই, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে গণহত্যা করেছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা, এ দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্টাপাল্টা আর আবোল-তাবোল কথা বলে, আমাদের মাথা নোওয়াতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন, ২০২৬ সালে ফেব্রুয়ারীতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষনা দিয়েছেন, এ নির্বাচন হতে হবে, এর বিকল্প নাই। নির্বাচন যত দেরী হচ্ছে, বাংলাদেশ তত দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। জনগণের সমর্থন ছাড়া কোন সরকারই সফলতার সাথে দেশ চালাতে পারে না।
তাই পরিস্কারভাবে বলতে চাই আপনারা ভালো হয়ে যান। এ নির্বাচনের অংশগ্রহণের জন্য প্রস্ততি নেন। কেন জনগণকে বোকা বানাচ্ছেন। নির্বাচন তো করবেন, নির্বাচন না করলে অস্তিত্ব থাকবে না। সারাদেশের মানুষ নির্বাচন চাই, নির্বাচিত সরকার না থাকার কারণে দেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসছে না। তাই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।
নতুন প্রজন্মকে সত্যিকার অর্থে নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি জনগণের দল, জনগণের শক্তিতেই আবার নতুন করে জেগে উঠেছে।
২৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনে হাজার ছাত্র-জনতা মারা যান। ফ্যাসিস্ট শক্তি যেন আসতে আর না পারে সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি’র দিকে তাকিয়ে আছে জনগণ। অসংখ্য শিক্ষিত যুবক রয়েছেন, তাদের চাকুরি নাই। তারেক রহমান বলেছেন নির্বাচিত হলে ১ কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন, কৃষকদের নায্যমূল্যে বীজ-সার পাওয়ার জন্য ফার্মাস কার্ডের ব্যবস্থা করবেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক এমপি মোঃ হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান মিঞা, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক এমপি মোঃ মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমিনুল ইসলাম,
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) শরীফ উদ্দীন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল প্রমুখ




















