০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয়করণ বঞ্চিত ২৭টি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • 54

আজ ৩১ আগস্ট সকাল ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয়করণ বঞ্চিত ২৭টি মডেল প্রকৃতপক্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন, সঞ্চালনা করেন শাহিন হোসেন এবং লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এসময় জাতীয়করণ বঞ্চিত ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ২০১৫ সালে সরকার উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের উদ্যোগ নেয়। একই প্রক্রিয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ দেশের বিভিন্ন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় যাচাই-বাছাই করে একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৩১০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হলেও একই মানদণ্ডে উত্তীর্ণ ২৭টি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় বাদ পড়ে যায়।

বক্তারা বলেন, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও কেন এসব বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের আওতায় আনা হলো না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বারবার আশ্বাস দিলেও এতদিনে এ দাবি বাস্তবায়িত হয়নি।

গত ২০১৬ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একক শিফটে পাঠদান চালুর কথা থাকলেও এই ২৭টি বিদ্যালয় এখনো দ্বৈত শিফটে পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং শিক্ষক-অভিভাবকরা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এছাড়া, ২০১৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের সময় ৩১৫টি বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হলেও একই মানদণ্ডে উত্তীর্ণ এই ২৭টি বিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা একাধিকবার স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন প্রার্থী ও জনপ্রতিনিধিরা এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন শেষে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

প্রধান দাবিসমূহঃ
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত প্রধান দাবিগুলো হলো—

অবিলম্বে জাতীয়করণ বঞ্চিত ২৭টি মডেল প্রকৃতপক্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের আওতায় আনতে হবে।

প্রক্রিয়ায় যেন কোনো বৈষম্য, রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা স্বজনপ্রীতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

সকল বিদ্যালয়কে সমান মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনতে হবে।

বক্তারা বলেন, সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার মান উন্নয়নে এসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আওতায় আনা অপরিহার্য। দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের প্রত্যাশা পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়।

জনপ্রিয়

উখিয়ায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে

জাতীয়করণ বঞ্চিত ২৭টি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

আজ ৩১ আগস্ট সকাল ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয়করণ বঞ্চিত ২৭টি মডেল প্রকৃতপক্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন, সঞ্চালনা করেন শাহিন হোসেন এবং লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এসময় জাতীয়করণ বঞ্চিত ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ২০১৫ সালে সরকার উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের উদ্যোগ নেয়। একই প্রক্রিয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ দেশের বিভিন্ন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় যাচাই-বাছাই করে একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৩১০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হলেও একই মানদণ্ডে উত্তীর্ণ ২৭টি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় বাদ পড়ে যায়।

বক্তারা বলেন, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও কেন এসব বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের আওতায় আনা হলো না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বারবার আশ্বাস দিলেও এতদিনে এ দাবি বাস্তবায়িত হয়নি।

গত ২০১৬ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একক শিফটে পাঠদান চালুর কথা থাকলেও এই ২৭টি বিদ্যালয় এখনো দ্বৈত শিফটে পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং শিক্ষক-অভিভাবকরা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এছাড়া, ২০১৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের সময় ৩১৫টি বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হলেও একই মানদণ্ডে উত্তীর্ণ এই ২৭টি বিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা একাধিকবার স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন প্রার্থী ও জনপ্রতিনিধিরা এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন শেষে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

প্রধান দাবিসমূহঃ
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত প্রধান দাবিগুলো হলো—

অবিলম্বে জাতীয়করণ বঞ্চিত ২৭টি মডেল প্রকৃতপক্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের আওতায় আনতে হবে।

প্রক্রিয়ায় যেন কোনো বৈষম্য, রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা স্বজনপ্রীতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

সকল বিদ্যালয়কে সমান মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনতে হবে।

বক্তারা বলেন, সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার মান উন্নয়নে এসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আওতায় আনা অপরিহার্য। দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের প্রত্যাশা পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়।