
রাজার অনেক যুদ্ধ জয়ে এই যুদ্ধবাজ ঘোড়াগুলোর অসামান্য অবদান ছিলো, চারিদিকে তখন রাজার সুখ্যাতি।
রাজা ঘোড়া পোষার পাশাপাশি অনেকগুলো গাধাও পুষতো। তো ঘোড়ার পেছনে এত খরচ দেখে, উজির-নাজির প্রায়শঃ ই রাজার কাছে ঘোড়াগুলো নিয়ে অভিযোগ করতোঃ
ঘোড়াগুলো বেয়াদব, সহজে বাগে আনা যায় না, তার উপর দিনের পর দিন কোন কাজেও লাগছে না, অথচ এদের পেছনে খরচ ঠিকই হচ্ছে”।
রাজা নিজেও লক্ষ্য করেছে আস্তাবলে ঘোড়াগুলোকে দেখতে গেলে ঘোড়াগুলো ঠিকমত সম্মান করে না। অথচ গাধার আস্তাবলে গেলে গাধাগুলো রাজার সারা গা-হাত-পা চাটা শুরু করে।
একদিন উজির-নাজির, রাজাকে পরামর্শ দিলো ঘোড়াগুলোকে বিক্রি করে দিতে, আর ঘোড়া বিক্রির টাকা দিয়ে পুরানো গাধাগুলোকে বেশি আদর যত্ন করতে সাথে বেশি করে আরো নতুন গাধা কিনতে।
তারপর যুদ্ধবাজ ঘোড়াগুলো বেশ দামে পাশের রাজ্যের দুর্বল রাজার কাছে বিক্রি করে দেয়া হল এবং অনেকগুলো গাধা কিনা হল।