০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উখিয়ায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে

  • প্রকাশের সময় : ০১:০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 20

নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত নজির আহমদের ছেলে আমির হোসেনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজি আমির আলীর বিএস খতিয়ান নং ১৪৬, দাগ নং ৭১৩৮ এর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার বসানো হলেও, আমির হোসেন তা মানেননি। বরং গোপনে বিচারকদের বিরুদ্ধেই কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিচার করতে গেলে যদি বিচারকদেরই মামলা খেতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের পাশে কে দাঁড়াবে?”

অভিযোগকারীরা জানান, তাদের পৈতৃক সম্পত্তি বিএস খতিয়ান নং-১৪৬, দাগ নং ৭১৩৮ এর অধীনে ১ একর ১০ শতক জায়গা প্রকৃত মালিকদের নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। তারা প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জমিটি চাষাবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু আমির হোসেন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে তাদের চাষা শ্রমিককে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জমি থেকে উচ্ছেদ করেন। এতে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় সাধারণ কৃষিকের।

তিনি দীর্ঘদিনের দখলিয় জমিনের ধান ক্ষেত্রে নষ্ট করে দে হাজ্বী আমির হোসেনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।

বর্তমানে আমির হোসেন  ভাগিনা আব্দুল আলম পিতা শামসুল ৪৭ শতক জমিন ও চাষা নাজিম উদ্দীন পিতা ফকির আহমেদ, আমির হোসেনের ভাতিজা নরুল আলমকে বর্গাচাষী হিসাবে দিয়েছে আমির হোসেন।

স্থানীয়রা আরও জানান তার আত্মীয় স্বজনসহ শত শত নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে ভূমিদস্য বলে মামলা অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারীরা আরও জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে সম্প্রতি তাদের জমি পুনরুদ্ধারের পর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমির হোসেন ভুয়া সংবাদ পরিবেশন ও ভিত্তিহীন মামলার আশ্রয় নিয়েছেন।

এ বিষয়ে উখিয়া জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল ফজল বলেন, “আমরা স্থানীয়ভাবে বিচার বসিয়েছিলাম। রত্নাপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জানে আলমসহ সবাই একমত হয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিচার অমান্য করে উল্টো মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেন, কক্স টিভির প্রতিবেদনে বিএনপি নেতা জাফর আলম রফিকসহ আটজনের নাম অযৌক্তিকভাবে জড়ানো হয়েছে। অথচ তাদের সঙ্গে ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

প্রতিবাদকারীরা সংবাদটিকে অসত্য, কাল্পনিক ও মানহানিকর অপপ্রচার বলে নিন্দা জানান এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মুক্তির দাবি করেন।
প্রতিবাদকরী: ১. নাজিম উদ্দিন (প্রবাসী), পিতা: আলী আকবর ২. নুরুল ইসলাম (প্রবাসী), পিতা: মৃত ফকির আহমেদ (পৈতৃক সূত্রে রেকর্ডভুক্ত মালিক) সাং: রত্নাপালং ৭নং ওয়ার্ড, উখিয়া, কক্সবাজার

জনপ্রিয়

উখিয়ায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে

উখিয়ায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে

প্রকাশের সময় : ০১:০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত নজির আহমদের ছেলে আমির হোসেনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজি আমির আলীর বিএস খতিয়ান নং ১৪৬, দাগ নং ৭১৩৮ এর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার বসানো হলেও, আমির হোসেন তা মানেননি। বরং গোপনে বিচারকদের বিরুদ্ধেই কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিচার করতে গেলে যদি বিচারকদেরই মামলা খেতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের পাশে কে দাঁড়াবে?”

অভিযোগকারীরা জানান, তাদের পৈতৃক সম্পত্তি বিএস খতিয়ান নং-১৪৬, দাগ নং ৭১৩৮ এর অধীনে ১ একর ১০ শতক জায়গা প্রকৃত মালিকদের নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। তারা প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জমিটি চাষাবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু আমির হোসেন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে তাদের চাষা শ্রমিককে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জমি থেকে উচ্ছেদ করেন। এতে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় সাধারণ কৃষিকের।

তিনি দীর্ঘদিনের দখলিয় জমিনের ধান ক্ষেত্রে নষ্ট করে দে হাজ্বী আমির হোসেনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।

বর্তমানে আমির হোসেন  ভাগিনা আব্দুল আলম পিতা শামসুল ৪৭ শতক জমিন ও চাষা নাজিম উদ্দীন পিতা ফকির আহমেদ, আমির হোসেনের ভাতিজা নরুল আলমকে বর্গাচাষী হিসাবে দিয়েছে আমির হোসেন।

স্থানীয়রা আরও জানান তার আত্মীয় স্বজনসহ শত শত নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে ভূমিদস্য বলে মামলা অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারীরা আরও জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে সম্প্রতি তাদের জমি পুনরুদ্ধারের পর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমির হোসেন ভুয়া সংবাদ পরিবেশন ও ভিত্তিহীন মামলার আশ্রয় নিয়েছেন।

এ বিষয়ে উখিয়া জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল ফজল বলেন, “আমরা স্থানীয়ভাবে বিচার বসিয়েছিলাম। রত্নাপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জানে আলমসহ সবাই একমত হয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিচার অমান্য করে উল্টো মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেন, কক্স টিভির প্রতিবেদনে বিএনপি নেতা জাফর আলম রফিকসহ আটজনের নাম অযৌক্তিকভাবে জড়ানো হয়েছে। অথচ তাদের সঙ্গে ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

প্রতিবাদকারীরা সংবাদটিকে অসত্য, কাল্পনিক ও মানহানিকর অপপ্রচার বলে নিন্দা জানান এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মুক্তির দাবি করেন।
প্রতিবাদকরী: ১. নাজিম উদ্দিন (প্রবাসী), পিতা: আলী আকবর ২. নুরুল ইসলাম (প্রবাসী), পিতা: মৃত ফকির আহমেদ (পৈতৃক সূত্রে রেকর্ডভুক্ত মালিক) সাং: রত্নাপালং ৭নং ওয়ার্ড, উখিয়া, কক্সবাজার