
মোঃ মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা এক বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব। তিনি শুধু একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীই নন, পাশাপাশি একজন সমাজসেবক ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন নাগরিকও। তাঁর জীবন ও কর্মে সংগীত, সমাজসেবা ও দেশপ্রেম একসূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে কনকচাঁপার নাম এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। আশির দশক থেকে তিনি যে সংগীতযাত্রা শুরু করেছিলেন, তা আজও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে চলেছে। আধুনিক গান, লোকগীতি, চলচ্চিত্রের গান—সব ক্ষেত্রেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তাঁর কণ্ঠে ফুটে ওঠে আবেগ, সুর ও প্রাণের এক অনন্য মেলবন্ধন। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে তিনি অর্জন করেছেন শ্রোতাদের ভালোবাসা ও সম্মান। গানের পাশাপাশি কনকচাঁপা দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। তিনি নারী উন্নয়ন, শিশু অধিকার ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো কাজগুলোতে নিয়মিত ভূমিকা রাখছেন। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সহানুভূতির জায়গা থেকেই তিনি সমাজ পরিবর্তনের কাজে অংশ নিচ্ছেন। রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে রাজনীতিকেও দেখেন জনগণের সেবার একটি মাধ্যম হিসেবে। তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী এবং দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক পরিবর্তনের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর বিশ্বাস, রাজনীতি যদি সততা ও দেশপ্রেমের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, তবে তা সমাজে প্রকৃত উন্নয়ন বয়ে আনতে পারে। রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা সংগীত, সমাজসেবা ও রাজনীতিকে একত্রে ধারণ করে এগিয়ে চলেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন শিল্পী কেবল গানেই নয়, সমাজ পরিবর্তনের প্রয়াসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তাঁর সুরেলা কণ্ঠ যেমন হৃদয় ছোঁয়, তেমনি তাঁর চিন্তা ও কর্ম সমাজে আলো ছড়ায় শিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ১৯৬৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন প্রখ্যাত আধুনিক, চলচ্চিত্রের গান, নজরুল সঙ্গীত এবং লোকগীতির শিল্পী, যিনি ১৯৮৪ সাল থেকে সক্রিয় আছেন। সঙ্গীত জগতে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা নারী প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন।কনকচাঁপার জন্ম: ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯, ঢাকা, বাংলাদেশ। আসল নাম: রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। পেশা: সংগীত শিল্পী এবং রাজনীতিবিদ। পারিবারিক জীবন: ১৯৮৪ সালে সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খানকে বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে, ফয়জুল ইসলাম খান, এবং একটি মেয়ে, ফারিয়া ইসলাম খান রয়েছে, যারা কেউই পেশাদার ভাবে গান করেন না।এই দম্পতির জুওয়াইরিয়া ইসলাম ,আমমার মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, খাদিজা ইসলাম খান ,আমিনা ইসলাম খান ও মোহাম্মদ বিন ইয়াহইয়া নামের পাঁচ জন নাতী নাতনী আছে,কন্যা ও পুত্রের ঘরে। সঙ্গীত ও কর্মজীবনে তিনি বাংলা গানের জগতে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং তাকে চলচ্চিত্রের একটি অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা নারী প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পী পুরস্কার লাভ করেন। তিনি নিয়মিত কলাম লেখেন এবং তার জীবনীর উপর একটি বই, “কাটা ঘুড়ি” ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি নিয়মিত কলাম লেখেন এবং তার জীবনীর উপর একটি বই, “কাটা ঘুড়ি” ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছে।



























