০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

সাবেক ভূমি কর্মকর্তাসহ দুজনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : ০১:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • 51

মো.জুয়েল রানা মজুমদার

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া মৌজায় মোঃ ইদ্রিস মিয়ার ক্রয়কৃত ১২ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মহসিন ও শাহাজালাল (শিমুল) নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস মিয়া ওই জমির বৈধ মালিক। জমিটি সাবেক ২৮৮ হালে ১০২ নম্বর জাঙ্গালিয়া মৌজার ২৫, ২৬, ১১১ ও ৩৩ নম্বর খতিয়ানে এবং খারিজ খতিয়ান নং ২৫-১২১২, ৫৪৮ ও ১০২৯ খতিয়ানে ৩৩৭, ৩৪৫ ও ৩৪৪ নম্বর প্লটে ফরজীভাবে দখলদারদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত। ইদ্রিস অভিযোগ করেছেন, মহসিন স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে গৃহস্বত্বসহ জমি দখলের চেষ্টা করছে এবং বিভিন্ন সময়ে তাঁর শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে বাধা প্রদান করেছে।

ইদ্রিস মিয়ার বক্তব্যে বলা হয়েছে “আমি ক্রয়সূত্রে ও রেকর্ড অনুযায়ী মালিক। পূর্বে ২৮/১৭ নং পি আর মামলায় বিজ্ঞ আদালত দখলদারকে সাব্যস্ত করে আমার নামে রায় প্রদান করেছেন। আমি দীর্ঘকাল যাবত শান্তিপূর্ণভাবে জমিটি ভোগদখল করে আসছি।”

ঘটনার ক্রোনোলজি ও অভিযোগের বিবরণ অনুযায়ী
১৭ জুলাই ২০২৫: অভিযোগ, মহসিন (পিতা মৃত আঃ হক) ও শাহাজালাল শিমুল সরাসরি আমার দখলীয় ভূমিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি; রিসিভ নং ২১‍৩৭/২৫ (১৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে রিসিভ) দেওয়া হয়।

৩ অক্টোবর ২০২৫: পাকা দালান নির্মাণের উদ্দেশ্যে মহসিনগণ ইট, বালি, সিমেন্টসহ নির্মাণ সরঞ্জাম নিয়ে আসে; বাধা দেয়ায় তারা চলে যায়।

৮ অক্টোবর ২০২৫: পুনরায় হস্তক্ষেপ ও ধাক্কাধাক্কির প্রেক্ষিতে ইদ্রিস ৮৫১/২৫ নং পি আর মামলা দায়ের করেন (স্বারক নং ৯৪১(২)।

সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর দক্ষিণ এবং সদর দক্ষিণ থানার নির্দেশে ইপিজেড পাড়ির উপ-ইনস্পেক্টর প্রভীনদেব সরজমিনে তদন্ত করে মহসিনগণকে অন্যের জমিতে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার কথাও বিষয়টির তদন্তে উঠে এসেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মহসিনকে আরও আগে থেকে দুর্নীতির অভিযোগভুক্ত হিসেবে মনে করা হয় — চাকুরীর সময়েও তিনি প্রভাব কায়েম করে স্থানীয়দের প্রতি অন্যায় আচরণ করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মানুষ অপমানিত করে সারণী এবং ভাতিজি-জামাইকে ব্যবহার করে হুমকি-ধামকি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ইদ্রিস দাবি করেছেন মহসিন রাজনীতিক প্রভাবশালী ছিলেন এবং এই প্রভাবের কারণে অনৈতিকভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন; দুর্নীতির জেরে তার পেনশনও আটকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইদ্রিস মিয়া শেষ অনুচ্ছেদে বলেন, “আমার ক্রয়কৃত জমি যেন কেউ জোর করে দখল করতে না পারে—তা নিশ্চিত করার জন্য আমি আদালত ও প্রশাসনের নিকট তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ দাবি করছি এবং অন্যায়কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

এ ব্যাপারে মহসিন ও শাহাজালাল শিমুলের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয়

২০১৮ সালে সংসদে যাওয়া দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল

সাবেক ভূমি কর্মকর্তাসহ দুজনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০১:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

মো.জুয়েল রানা মজুমদার

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া মৌজায় মোঃ ইদ্রিস মিয়ার ক্রয়কৃত ১২ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মহসিন ও শাহাজালাল (শিমুল) নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস মিয়া ওই জমির বৈধ মালিক। জমিটি সাবেক ২৮৮ হালে ১০২ নম্বর জাঙ্গালিয়া মৌজার ২৫, ২৬, ১১১ ও ৩৩ নম্বর খতিয়ানে এবং খারিজ খতিয়ান নং ২৫-১২১২, ৫৪৮ ও ১০২৯ খতিয়ানে ৩৩৭, ৩৪৫ ও ৩৪৪ নম্বর প্লটে ফরজীভাবে দখলদারদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত। ইদ্রিস অভিযোগ করেছেন, মহসিন স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে গৃহস্বত্বসহ জমি দখলের চেষ্টা করছে এবং বিভিন্ন সময়ে তাঁর শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে বাধা প্রদান করেছে।

ইদ্রিস মিয়ার বক্তব্যে বলা হয়েছে “আমি ক্রয়সূত্রে ও রেকর্ড অনুযায়ী মালিক। পূর্বে ২৮/১৭ নং পি আর মামলায় বিজ্ঞ আদালত দখলদারকে সাব্যস্ত করে আমার নামে রায় প্রদান করেছেন। আমি দীর্ঘকাল যাবত শান্তিপূর্ণভাবে জমিটি ভোগদখল করে আসছি।”

ঘটনার ক্রোনোলজি ও অভিযোগের বিবরণ অনুযায়ী
১৭ জুলাই ২০২৫: অভিযোগ, মহসিন (পিতা মৃত আঃ হক) ও শাহাজালাল শিমুল সরাসরি আমার দখলীয় ভূমিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি; রিসিভ নং ২১‍৩৭/২৫ (১৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে রিসিভ) দেওয়া হয়।

৩ অক্টোবর ২০২৫: পাকা দালান নির্মাণের উদ্দেশ্যে মহসিনগণ ইট, বালি, সিমেন্টসহ নির্মাণ সরঞ্জাম নিয়ে আসে; বাধা দেয়ায় তারা চলে যায়।

৮ অক্টোবর ২০২৫: পুনরায় হস্তক্ষেপ ও ধাক্কাধাক্কির প্রেক্ষিতে ইদ্রিস ৮৫১/২৫ নং পি আর মামলা দায়ের করেন (স্বারক নং ৯৪১(২)।

সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর দক্ষিণ এবং সদর দক্ষিণ থানার নির্দেশে ইপিজেড পাড়ির উপ-ইনস্পেক্টর প্রভীনদেব সরজমিনে তদন্ত করে মহসিনগণকে অন্যের জমিতে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার কথাও বিষয়টির তদন্তে উঠে এসেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মহসিনকে আরও আগে থেকে দুর্নীতির অভিযোগভুক্ত হিসেবে মনে করা হয় — চাকুরীর সময়েও তিনি প্রভাব কায়েম করে স্থানীয়দের প্রতি অন্যায় আচরণ করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মানুষ অপমানিত করে সারণী এবং ভাতিজি-জামাইকে ব্যবহার করে হুমকি-ধামকি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ইদ্রিস দাবি করেছেন মহসিন রাজনীতিক প্রভাবশালী ছিলেন এবং এই প্রভাবের কারণে অনৈতিকভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন; দুর্নীতির জেরে তার পেনশনও আটকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইদ্রিস মিয়া শেষ অনুচ্ছেদে বলেন, “আমার ক্রয়কৃত জমি যেন কেউ জোর করে দখল করতে না পারে—তা নিশ্চিত করার জন্য আমি আদালত ও প্রশাসনের নিকট তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ দাবি করছি এবং অন্যায়কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

এ ব্যাপারে মহসিন ও শাহাজালাল শিমুলের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।