১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

চুলকাটি বনিকপাড়ায় ১৫১টি প্রতিমা নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসব

  • প্রকাশের সময় : ১১:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 92

তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাটি বনিকপাড়া পূজা মন্ডপে ১৫১টি প্রতিমা নিয়ে জমকালো শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ-সাজ রব। এ বছর দেবী দূর্গা আগমন করবেন হাতিতে চড়ে, আর প্রস্তান করবেন দোলায় চড়ে।

চুলকাটি বনিকপাড়া সর্বাজনীন দূর্গা মন্দিরে এবারের চোখ ধাঁধালো আয়োজনে ১৫১টি প্রতিমার সাজ সজ্জা ও রং তুলির কাজ শেষ। এখন চলছে আলোক সজ্জা, লাইটিং ও ডেকোরেশনের কাজ।

ঐতিহ্যবাহী চুলকাটি বনিকপাড়া সর্বাজনীন দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাস্কার প্রশান্ত দাশ বলেন, চুলকাটি বনিকপাড়া সর্বাজনীন পূজা মন্ডপে ১৫১ টি প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। প্রতিমার রং তুলির কাজ শেষ।

আগামী রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেবী পক্ষের ষষ্ঠি তিথীতে বোধন তলায় মঙ্গল ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দূর্গা দেবীর এ উৎসব শুরু হবে। ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি, আর আরতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে পূজা মন্ডপগুলো। দেবীর আরাধনার মধ্যে দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয় দশমীতে দেবী দূর্গার বির্ষজনের মাধ্যমে এ উৎসবের সমাপ্তী ঘটবে।

চুলকাটি বনিকপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমারেশ সাধু জানান, এ বছর চুলকাটি বনিকপাড়া পূজা মন্ডপে সর্ববৃহৎ ১৫১ টি প্রতিমা নিয়ে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া মন্দিরের বাহিরে সকল প্রকার আলোকসজ্জা, সাজসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি থাকবে।

এদিকে প্রতিমা তৈরীর সার্বিক সহযোগিতায় থাকা নিতাই চন্দ্র সিংহ বলেন, দিপু সাধু ও শংকর সরকার আমাদের তিন জনের সার্বিক সহযোগিতা ও পরিচালনায় গত ৩ মাস ধরে প্রতিমা ভাস্কাররা তাদের কারুকার্য চালিয়েছে। বিগত ২৪ বছরে বনিকপাড়ায় পূজা উদযাপনে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি আমরা শান্তি শৃঙ্খলার সাথে প্রতি বছর দূর্গা পূজা উৎসব পালন করে আসছি।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাহমুদ-উল হাসান জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে দূর্গোৎসব পালনের লক্ষে উপজেলার পূজা মন্ডপগুলোতে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও পুলিশ, সেনাবাহিনী, ব্যাটিলিয়ান আনসার, সাধারণ আনসার’সহ পৃথক ২টি মোবাইল টিমের সদস্যরা মোতায়ন থাকবে। এ ছাড়াও প্রতি ইউনিয়নে চেক পোস্ট এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।

জনপ্রিয়

২০১৮ সালে সংসদে যাওয়া দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল

চুলকাটি বনিকপাড়ায় ১৫১টি প্রতিমা নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসব

প্রকাশের সময় : ১১:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাটি বনিকপাড়া পূজা মন্ডপে ১৫১টি প্রতিমা নিয়ে জমকালো শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ-সাজ রব। এ বছর দেবী দূর্গা আগমন করবেন হাতিতে চড়ে, আর প্রস্তান করবেন দোলায় চড়ে।

চুলকাটি বনিকপাড়া সর্বাজনীন দূর্গা মন্দিরে এবারের চোখ ধাঁধালো আয়োজনে ১৫১টি প্রতিমার সাজ সজ্জা ও রং তুলির কাজ শেষ। এখন চলছে আলোক সজ্জা, লাইটিং ও ডেকোরেশনের কাজ।

ঐতিহ্যবাহী চুলকাটি বনিকপাড়া সর্বাজনীন দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাস্কার প্রশান্ত দাশ বলেন, চুলকাটি বনিকপাড়া সর্বাজনীন পূজা মন্ডপে ১৫১ টি প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। প্রতিমার রং তুলির কাজ শেষ।

আগামী রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেবী পক্ষের ষষ্ঠি তিথীতে বোধন তলায় মঙ্গল ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দূর্গা দেবীর এ উৎসব শুরু হবে। ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি, আর আরতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে পূজা মন্ডপগুলো। দেবীর আরাধনার মধ্যে দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয় দশমীতে দেবী দূর্গার বির্ষজনের মাধ্যমে এ উৎসবের সমাপ্তী ঘটবে।

চুলকাটি বনিকপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমারেশ সাধু জানান, এ বছর চুলকাটি বনিকপাড়া পূজা মন্ডপে সর্ববৃহৎ ১৫১ টি প্রতিমা নিয়ে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া মন্দিরের বাহিরে সকল প্রকার আলোকসজ্জা, সাজসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি থাকবে।

এদিকে প্রতিমা তৈরীর সার্বিক সহযোগিতায় থাকা নিতাই চন্দ্র সিংহ বলেন, দিপু সাধু ও শংকর সরকার আমাদের তিন জনের সার্বিক সহযোগিতা ও পরিচালনায় গত ৩ মাস ধরে প্রতিমা ভাস্কাররা তাদের কারুকার্য চালিয়েছে। বিগত ২৪ বছরে বনিকপাড়ায় পূজা উদযাপনে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি আমরা শান্তি শৃঙ্খলার সাথে প্রতি বছর দূর্গা পূজা উৎসব পালন করে আসছি।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাহমুদ-উল হাসান জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে দূর্গোৎসব পালনের লক্ষে উপজেলার পূজা মন্ডপগুলোতে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও পুলিশ, সেনাবাহিনী, ব্যাটিলিয়ান আনসার, সাধারণ আনসার’সহ পৃথক ২টি মোবাইল টিমের সদস্যরা মোতায়ন থাকবে। এ ছাড়াও প্রতি ইউনিয়নে চেক পোস্ট এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।