
মোঃজুয়েল রানা মজুমদার কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার সুজানগরের বাসিন্দা ও সাবেক সমবায় কর্মকর্তা ইয়াছিন ভুইয়ার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ও ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে ব্লাংকচেক ও খালী ষ্টেম্পে সই করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ কারী তার অভিযোগে বলেন বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি অত্র থানাধীন ‘স্মরণ’ সঞ্চয় ও ঋণ দান সমবায় সমিতির লিঃ-এর সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োজিত আছি। বিবাদী ইয়াছিন ভূঁইয়া কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার অডিট অফিসার। বিগত ২০১৪ সাল থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়া বিগত ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমাদের সঞ্চয় ও ঋণ দান সমবায় সমিতি লিঃ এর অডিট রিপোর্ট করিবে বলিয়া অডিটের নামে প্রতি বছর আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমবায় দিবসে, বিভিন্ন উপলক্ষে বড় অংকের টাকা আদায় করিতেন এবং আমরা তাহাকে অডিট অফিসার হিসেবে ভয়ে কিছু বলতে পারতাম না। তিনি আমাদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিতেন। তাহার সাথে আমাদের সু-সম্পর্ক হওয়ায় তিনি আমাদের পরিচলিত সঞ্চয় ও ঋণ দান সমবায় সমিতি লিঃ প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। এমতাবস্থায় বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়া গত ০৩/০৩/২০২০ তারিখে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) ১৩/০৭/২০২০ইং তারিখে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) ১৫/১২/২০২০ইং তারিখে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ টাকা) এবং গত ০৭/০৩/২০২১ইং তারিখে ২,০০.০০০ (দুই লক্ষ টাকা) মোট ১০,০০,০০০/- টাকা জমা রাখে। এর প্রেক্ষিতে তিনি প্রমাণ স্বরূপ আমার ব্যক্তিগত UCB ব্যাংক একাউন্টের ৪টি ব্লাক চেক নিয়া যায়। যাহার চেক নং-২৬০১৬১২, ২৬০১৬১৪, ২৬০১৬১৫৫ ২৬১৬১৬ এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের খুবই ৪টি সার্টিফিকেট-এর মূল কপি তাহার নিকট জমা রাখে। এরই মধ্যে আমি বিবাদী ইয়ছিন ভূইয়াকে বিভিন্ন তারিখে তাহার পাওনাকৃত টাকার ৪,৫৪,০০০/- (চার লক্ষ চুয়ান্ন হাজার টাকা) বুঝাইয়া দেই, সে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাগজে স্বাক্ষর করিয়া গুনিয়া বুঝিয়া নিয়া যায়। এরই মধ্যে ২০২০ সালে বাংলাদেশে মহামারি করুনা কালীন সময়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমাদের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করা সদস্যরা করোনা মহামারির কারণে কিস্তি টাকা পরিশোধ করেনা ও পালাইয়া যায় ও মৃত্যু বরণ করে। আমরা মারাত্মকভাবে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই। বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়া আমাদের নিকট তাহার পাওনা টাকার জন্য আমাদেরকে চাপ সৃষ্টি করে। সে তাহার ভাড়াকৃত লোকজন নিয়া কিছু দিন পর পর আমার বাড়িতে আসিয়া আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে ও হুমকি ধমকি দেয়, আমাদেরকে হিন্দু সম্প্রদায় বলিয়া সংখ্যা গরিষ্ট ভাবিয়া সে আমার উপর অত্যাচার করে। আমি বহু কষ্ট করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করিয়া আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়াকে কুমিল্লা সদর উপজেলা সমবায় অফিসারের সামনে গত ২০/০৮/২০২৩ইং তারিখে নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা) বুঝাইয়া দেই এবং গত ২১/১২/২০২৪ইং তারিখে আরো ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা প্রদান করি। সর্বমোট ৭,০৪,০০০/- (সাত লক্ষ চার হাজার টাকা) বুঝাইয়া দেই। এদিকে বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়া তাহার বাকী পাওনা টাকার জন্য আমার বাড়িতে আসিয়া আমাকে চাপসৃষ্টি করে। এমতাবস্থায় গত ৩০/০৮/২০২৪ইং তারিখ বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়া তাহার সঙ্গীয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়া আমার বাড়িতে আসিয়া আমাকে ভয়ভীতি দেখাইয়া আমার কাছ থেকে আমার ব্যাংক একাউন্টের একটি চেকে ১৪,০০,০০০/- (চৌদ্দ লক্ষ টাকা) আমাকে দিয়ে জোর পূর্বক লিখিয়ে নিয়া যায় যাহার বিবরণ ইউসিবি ব্যাংক, হিসাব নং-২৬০১৬১৭ বিবাদীরা এতেই ক্ষ্যন্ত হয় নাই বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়া গত ৩০/১০/২০২৪ইং তারিখ আমার বাড়িতে আসিয়া আমার কাছ থেকে জোর পূর্বক ১০০ মূল্যের ৩টি স্টাম্পে ১৬,০০,০০০/- (যোল লক্ষ) টাকা পাওয়া আছে বলিয়া জোরপূর্বক সই করিয়া লিখিয়া নিয়া যায়। এরপর বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়া আমাকে হুমকি দিয়া বলে যে, আমাকে সুযোগ মতো পেলে মারধরসহ খুন জখম করিবে। বিবাদীদের হুমকি ধমকিতে আমি ও
আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি। বিবাদীর হুমকি ধমকিতে আমার বৃদ্ধ অসুস্থ মা বিছানা শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে আছে, আমি আশংকা করিতেছি যে, বিবাদী ইয়াছিন ভূইয়া নিজে বা তাহার ভাড়াকৃত লোকজন দিয়া যে কোন সময় আমার উপর হামলা বা যে কোন প্রকারের অঘটন ঘটাইতে পারে। আমার নিকট টাকা পাওনা আছে বলিয়া আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের বা আমাকে হয়রানী করিতে পারে। এ ব্যাপারে আমি আমাদের প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের জানাইয়া তাহার পরামর্শ মতে আপনার কার্যালয়ে আসিয়া আইনগত সহায়তা পাওয়ার আবেদন করিলাম।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, সাবেক সমবায় কর্মকর্তা ইয়াছিন মিয়া একজন দুষ্ট ও দূর্নীতিবাজ লোক চাকুরি থাক কালীন সময়ে বিভিন্ন প্রত্রিকায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন সহ অনেক নিউজ প্রকাশিত হয়েছে, সরকারী অডিটের নামে বিভিন্ন এনজিও থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো, তার এই অবৈধ টাকা দিয়ে সে শহরের সুজানগরে গড়ে তুলেছেন বহুতলা আলিশান বাড়ী,সে মানুষকে সুদে টাকা দিতে আবার কেউ সুদের টাকা দিতে না পারলে সে তার সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে জোর করে চেক ষ্টেম্পে সই নিয়ে তার বিরুদ্বে কোটে মামলা করে দিতো,তার চক্রান্তের শিকার হয়েছেন অভিযোগকারী নারায়র কুন্ড তাই তার এই প্রতানার হাত থেকে সবাই মুক্ত হতে চায়, এবং সঠিক তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেন।