
মোঃ মোসলেম উদ্দিন সিরাজী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে যে কয়জন কর্মীবান্ধব, জনপ্রিয়, সৎ ও ত্যাগী নেতা রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সদস্য সচিব মো: আজাদ হোসেন। দীর্ঘ ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতি অবিচল আনুগত্য রেখে জেল, জুলুম, হামলা-মামলা উপেক্ষা করে আজও মাঠে টিকে রয়েছেন তিনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ৭০টির ও বেশি মামলা ঘাড়ে নিয়ে ২৬ বার কারাবরণ করেছেন তৃণমূল কর্মী বান্ধব এই নেতা।
দল ও দেশের জন্য নিঃস্বার্থ আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাওয়া নেতা আজাদ হোসেন এবার সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) সংসদীয় আসনের এমপি হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় নেমেছেন মাঠে। তাঁর প্রিয় উল্লাপাড়াকে মাদক-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত করে সবুজ উল্লাপাড়া হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ। এ বিষয়ে সম্প্রতি চ্যানেল এইচডি পএিকা , খবর সকাল বিকাল পএিকা ও দৈনিক মানবাধিকার ক্রাইম পএিকার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি কে মো: আজাদ হোসেন বলেন, আমার বাবা শরাফত আলী ছিলেন উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আমি ছাত্র অবস্থাতেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রদলে যোগ দেই। উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম, যুবদলের আহবায়ক ছিলাম, সেই সঙ্গে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পদে ও দায়িত্ব পালন করেছি। এরপর পৌর বিএনপির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। একবার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই এবং পর পর দুইবার সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলাম। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আমার বাবা ও আমি দলকে অনেক কিছু দিয়েছি। আমরা কিছু পাওয়ার জন্য দল করি না। এখন উল্লাপাড়াবাসীর প্রত্যাশা তারা আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি। আমার ত্যাগ, আমার উপর যে নির্যাতন, আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৬ বছর আমি রাজপথে থেকে যুদ্ধ করেছি। নেতাকর্মীকে সুসংগঠিত করেছি , ঐক্যবদ্ধ রেখেছি। মানুষের পাশে থেকেছি। আমার নেতাকর্মী যারা জেল জুলুম খেটেছে তাদের পরিবারের পাশে থেকেছি। তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমি আজ এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছি। আজাদ হোসেন আরও বলেন, ফ্যাসিষ্ট খুনী হাসিনার আমলে আমি ২৬ বার জেলে গিয়েছি। ৭০টা মামলা হয়েছে আমার নামে। একটা মামলা ভেঙে তিনটা মামলা হয়েছে। ১৬ বছর আমি বাড়িতে ঘুমাতে পারি নাই। বন-জঙ্গলে রাত্রি যাপন করতে হয়েছে। পুলিশের টার্গেটে আমি ছিলাম । এই আসনটা ছিল এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের। বাপ ছিলো ভোট কারচুপির মাস্টারমাইন্ড আর তার ছেলে ছিলো বিএনপির উপর নির্যাতনকারী। সেই নির্যাতনকে উপেক্ষা করে পুলিশের বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়েই আমরা রাজপথে আন্দোলন করেছি। তিনি বলেন, উল্লাপাড়া বিএনপি আমার নেতৃত্বে সুসংগঠিত হয়েছে । আমার ডাকে লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। আমাকে জামায়াত-শিবির হামলা করে আহত করে। ২৫ দিন চিকিৎসার পর যখন এলাকায় আসি আমাকে দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে। বিগত ৪৫ বছরের রাজনীতিতে মানুষের ভালোবাসাটা অর্জন করেছি। আমার স্বপ্ন এই উল্লাপাড়াকে একটি সবুজ উল্লাপাড়া গড়ে তোলা, শিক্ষানগরী, স্বাস্থ্যসেবা, সুশাসন সবকিছু দেওয়ার জন্য আমার যে আশা সেটা পূরণ করতে চাই। সেটা বাস্তবায়নের জন্যই এমপি প্রার্থী হয়েছি। সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ, সম্মান কেউ জোর করে নিতে পারে না। আমি বিএনপি পরিবারের একজন। তারেক রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমার পরিবারকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। আমার বাবা যখন অসুস্থ্য ছিলেন, তার শয্যা পাশে দেশনেত্রী আধা ঘণ্টার ও বেশি সময় দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান আমার বাবাকে ভাই বলে সম্বোধন করতেন।
আমি দীর্ঘ সময় বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়েছি। ১৬ বছর আমার ও আমার পরিবাররে উপর অকল্পনীয় নির্যাতন গেছে। ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে জীবনের মায়া না করে রাজপথে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। দলের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়ায় হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে অংশ নিয়েছে। তখন অন্য কোন প্রার্থী দলকে অর্গানাইজ করে নাই। খোঁজ খবরও নেয় নি। অন্তত ৮/৯শ নেতাকর্মী জেল খেটেছে। আমি নিজেও ২৬ বার জেলে গেছি। আমি মনে করি আমার কাছেই ধানের শীষ নিরাপদ। আমি শতভাগ আশা করি আমার হাতেই ধানের শীষ আসবে। এবং আমি সর্বোচ ভোটে নির্বাচিত হবো ইনশাল্লাহ।