০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজনীতিবিদরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অঙ্গীকার দিলে সেটা হবে বড় সংস্কার

  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • 90

মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, রাজনীতিবিদরা যদি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অঙ্গীকার করেন, সেটাই হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার। শুধু দলগুলোর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে কাগজে স্বাক্ষর করাই নয়, বাস্তব অঙ্গীকারই গণমাধ্যমের জন্য প্রকৃত সংস্কারের সূচনা করবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার না থাকলেও সাংবাদিকরা থেকে যাবেন এবং স্বাধীনতার পথে কাজ চালিয়ে যাবেন।

রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে প্রস্তাবিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক আলী রিয়াজ এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও চতুর্থ স্তম্ভের দিকটি বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ও পেশাগত দিকও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোকে কর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, “১৬ বছর ধরে সাংবাদিকতাকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদী সরকারকে টিকিয়ে রাখলে তার দায়ও নিতে হবে। মালিকানার যে ধরনের অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি অব্যাহত থাকলে স্বাধীন ও পেশাদার সাংবাদিকতা সম্ভব নয়। আপনাকে নিজে ঠিক করতে হবে—আপনি কি দোকানদার হবেন নাকি চতুর্থ স্তম্ভ।”

অধ্যাপক আলী রিয়াজের মন্তব্য, গণমাধ্যম সংস্কারের মূল দায়িত্ব সাংবাদিকদের নিজস্ব। সবকিছু কমিশন বা সরকার থেকে করানো সম্ভব নয়। তিনি দীর্ঘদিন যারা ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছে তাদেরও সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের দুরবস্থার জন্য সাংবাদিক নেতৃত্ব দায় এড়াতে পারবে না। ভবিষ্যতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তাদের অঙ্গীকার করতে হবে। নিরাপত্তা ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে মালিকপক্ষ ও সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার আশায় সম্পাদকরা যদি দালালি করে, কোনো দিন অধিকার আদায় সম্ভব হবে না।”

আলোচনা সভায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন। তারা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানান এবং স্বাধীন, পেশাদার সাংবাদিকতার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরেন।

জনপ্রিয়

উখিয়ায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে

রাজনীতিবিদরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অঙ্গীকার দিলে সেটা হবে বড় সংস্কার

প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, রাজনীতিবিদরা যদি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অঙ্গীকার করেন, সেটাই হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার। শুধু দলগুলোর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে কাগজে স্বাক্ষর করাই নয়, বাস্তব অঙ্গীকারই গণমাধ্যমের জন্য প্রকৃত সংস্কারের সূচনা করবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার না থাকলেও সাংবাদিকরা থেকে যাবেন এবং স্বাধীনতার পথে কাজ চালিয়ে যাবেন।

রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে প্রস্তাবিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক আলী রিয়াজ এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও চতুর্থ স্তম্ভের দিকটি বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ও পেশাগত দিকও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোকে কর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, “১৬ বছর ধরে সাংবাদিকতাকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদী সরকারকে টিকিয়ে রাখলে তার দায়ও নিতে হবে। মালিকানার যে ধরনের অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি অব্যাহত থাকলে স্বাধীন ও পেশাদার সাংবাদিকতা সম্ভব নয়। আপনাকে নিজে ঠিক করতে হবে—আপনি কি দোকানদার হবেন নাকি চতুর্থ স্তম্ভ।”

অধ্যাপক আলী রিয়াজের মন্তব্য, গণমাধ্যম সংস্কারের মূল দায়িত্ব সাংবাদিকদের নিজস্ব। সবকিছু কমিশন বা সরকার থেকে করানো সম্ভব নয়। তিনি দীর্ঘদিন যারা ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছে তাদেরও সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের দুরবস্থার জন্য সাংবাদিক নেতৃত্ব দায় এড়াতে পারবে না। ভবিষ্যতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তাদের অঙ্গীকার করতে হবে। নিরাপত্তা ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে মালিকপক্ষ ও সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার আশায় সম্পাদকরা যদি দালালি করে, কোনো দিন অধিকার আদায় সম্ভব হবে না।”

আলোচনা সভায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন। তারা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানান এবং স্বাধীন, পেশাদার সাংবাদিকতার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরেন।