০৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

প্রতিবাদ সভা: চট্টগ্রামে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতাদের জোরালো অবস্থান

  • প্রকাশের সময় : ০১:৩১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • 8

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

 

চট্টগ্রাম, ১৯ জুলাই ২০২৫:

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে তিনজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা কথিত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ সভা করেছেন। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি কে. এম. রুবেল, সাংবাদিক বাবু মৃধা ও মামুন আজাদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়।

 

গতকাল ১৮ জুলাই (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা সংলগ্ন চারুলতা রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম বন্দর শাখা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার বন্দর শাখা কমিটির সভাপতি জাফরুল ইসলাম জাহিদ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর কমিটির সভাপতি কে. এম. রুবেল।

 

সভায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক কে. এম. রুবেল জানান, নিখোঁজ যুবক বাবু হাওলাদারের খোঁজ নিতে পারুল বেগমের অনুরোধে কয়েকজন সাংবাদিক মোমিনুল হকের বাসায় যান। সেখানেই পুলিশের সামনে মোমিনুল হকের ছেলে তানিম ও অজ্ঞাত কিছু সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সেই মোবাইল ফোন ফেরত দিলেও, হামলার শিকার হন উপস্থিত সাংবাদিকরা।

 

নিখোঁজ বাবু হাওলাদারের মা পারুল বেগম বলেন, তার ছেলে চট্টগ্রামে এসে মোমিনুল হকের বাসায় ভাড়া থাকতেন। পরে তার অনুমতি ছাড়াই তার ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে দেয় মোমিনুলের মাদকাসক্ত ছেলে তানিম। প্রতিবাদ করায় বাবুকে মারধর করে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ইপিজেড থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়, যা তদন্ত করছেন এসআই সুমন দে।

 

তথ্য মতে, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন একই ভবনের ভাড়াটিয়া রোকসানা, যাকে পরে হুমকি দেন তানিম। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনা আড়াল করতে মোমিনুল হক সুকৌশলে উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন (সি.আর. মামলা নং: ৩৪২/২০২৫), যা বর্তমানে তদন্তাধীন এবং তদন্ত করছেন এসআই মামুনুর রশিদ।

 

প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইম্মানুয়েল গমেজ, সহ-সভাপতি ও মানবাধিকার নেতা বিল্লাল হোসাইন বেলাল, যুগ্ম সম্পাদক মাজেদুল আলম, ফজলুল হক মাসুদ, হাফিজুর রহমান রনি, শেখ আহম্মেদ শাকিল, আবুল খায়ের, বিধান ঘোষ লিটন, নার্গিস পারভীন রিক্তা, নাফাসা আজমিন, রিয়াজ উদ্দিন, আসরাফ উদ্দিন মিঠু, দিদারুল আলম বেলাল, জয়েন্ত দে, কামাল উদ্দিন, আল আমিন বেপারী, আয়মান হোসেন, তামান্না, আল আমিন, আজাদ মামুন, বাবু মৃধা সহ আরও অনেকে।

 

সভায় বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং যারা সাংবাদিকদের নামে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

জনপ্রিয়

কুমিল্লার বিশ্বরোডে যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট অভিযান

প্রতিবাদ সভা: চট্টগ্রামে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতাদের জোরালো অবস্থান

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

 

চট্টগ্রাম, ১৯ জুলাই ২০২৫:

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে তিনজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা কথিত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ সভা করেছেন। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি কে. এম. রুবেল, সাংবাদিক বাবু মৃধা ও মামুন আজাদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়।

 

গতকাল ১৮ জুলাই (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা সংলগ্ন চারুলতা রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম বন্দর শাখা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার বন্দর শাখা কমিটির সভাপতি জাফরুল ইসলাম জাহিদ এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর কমিটির সভাপতি কে. এম. রুবেল।

 

সভায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক কে. এম. রুবেল জানান, নিখোঁজ যুবক বাবু হাওলাদারের খোঁজ নিতে পারুল বেগমের অনুরোধে কয়েকজন সাংবাদিক মোমিনুল হকের বাসায় যান। সেখানেই পুলিশের সামনে মোমিনুল হকের ছেলে তানিম ও অজ্ঞাত কিছু সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সেই মোবাইল ফোন ফেরত দিলেও, হামলার শিকার হন উপস্থিত সাংবাদিকরা।

 

নিখোঁজ বাবু হাওলাদারের মা পারুল বেগম বলেন, তার ছেলে চট্টগ্রামে এসে মোমিনুল হকের বাসায় ভাড়া থাকতেন। পরে তার অনুমতি ছাড়াই তার ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে দেয় মোমিনুলের মাদকাসক্ত ছেলে তানিম। প্রতিবাদ করায় বাবুকে মারধর করে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ইপিজেড থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়, যা তদন্ত করছেন এসআই সুমন দে।

 

তথ্য মতে, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন একই ভবনের ভাড়াটিয়া রোকসানা, যাকে পরে হুমকি দেন তানিম। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনা আড়াল করতে মোমিনুল হক সুকৌশলে উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন (সি.আর. মামলা নং: ৩৪২/২০২৫), যা বর্তমানে তদন্তাধীন এবং তদন্ত করছেন এসআই মামুনুর রশিদ।

 

প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইম্মানুয়েল গমেজ, সহ-সভাপতি ও মানবাধিকার নেতা বিল্লাল হোসাইন বেলাল, যুগ্ম সম্পাদক মাজেদুল আলম, ফজলুল হক মাসুদ, হাফিজুর রহমান রনি, শেখ আহম্মেদ শাকিল, আবুল খায়ের, বিধান ঘোষ লিটন, নার্গিস পারভীন রিক্তা, নাফাসা আজমিন, রিয়াজ উদ্দিন, আসরাফ উদ্দিন মিঠু, দিদারুল আলম বেলাল, জয়েন্ত দে, কামাল উদ্দিন, আল আমিন বেপারী, আয়মান হোসেন, তামান্না, আল আমিন, আজাদ মামুন, বাবু মৃধা সহ আরও অনেকে।

 

সভায় বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং যারা সাংবাদিকদের নামে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।