০৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

বিএনপিকে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় সাধারণ ব্যাবসায়ী’কে প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর মেরে খুন

  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • 40

ডেক্স নিউজ 

অদ্য ১১ – জুলাই – রোজ শুক্রবার পুরান ঢাকার এক সাধারণ ব্যবসায়ী তিনি রাজনীতি করতেন না, পরিচিত ছিলেন একজন পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে। কিন্তু তার অপরাধ? শুধু এই যে, তিনি চাঁদা দেননি। আর সেই ‘অপরাধেই’ তাকে প্রকাশ্যে খুন করা হলো। এমন অন্যায় মেনে নেয়া যায় না

মানুষের সামনে, দিনের আলোয়, রাস্তায়। খুন করার পর তার নিথর দেহের উপর উঠে ঘৃণার এক পৈশাচিক নৃত্য পরিবেশন করলো খুনি। কেউ এগিয়ে আসেনি। সাহস করেনি। কারণ, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন প্রভাবশালী যুবদল নেতার পদপ্রার্থী।

এই লজ্জা কার? রাষ্ট্রের? নাকি আমাদের সবার একজন মানুষকে খুন করে, তার লাশের উপর দাঁড়িয়ে নাচে যাদের মন গলে না তারা মানুষ না, তারা সমাজের ভয়ংকরতম বিকৃতি। কীট

ডিএমপির একজন অতিরিক্ত কমিশনার বলেছেন, “যা হয়েছে, তা চিন্তার বাইরে।” কিন্তু আমরা কি আর চিন্তা করি? না হয় ভাবনার ক্ষমতা হারিয়েছি অনেক আগেই?

এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? যেখানে রাজনৈতিক পরিচয় বর্ম হয়ে দাঁড়ায়, আর ন্যায়ের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে যায় ভয় আর নির্লজ্জ নিরবতায়?

আজকে, ৫ আগস্টের পর ‘দেশের মালিক’ হয়ে ওঠা এক রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে মাথা না ঝোকানোর দায়ে একজন সাধারণ মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়।

নতুন দিনের স্বপ্ন আমরা দেখি ঠিকই, নতুন সংবিধানের কথা বলি, ‘হাসিনা মুক্ত’ আর ‘আওয়ামীলীগ মুক্ত’ বাংলাদেশ গড়ার কথা বলি। কিন্তু এই বাংলাদেশে যদি চাঁদা না দিলেই জীবন কেঁড়ে নেওয়া হয়, তাহলে সেই স্বপ্ন শুধু ধোঁয়া হয়ে মিলিয়ে যায়।

সবাই চুপ। কেউ কিছু বলে না। কেউ প্রতিবাদ করে না। শুধু একটা লাশ পড়ে থাকে রাস্তায়, আর আমরা মুখ ফিরিয়ে নেই।এই নীরবতা, এই লজ্জা কোথায় রাখি?জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম

জনপ্রিয়

কুমিল্লার বিশ্বরোডে যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট অভিযান

বিএনপিকে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় সাধারণ ব্যাবসায়ী’কে প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর মেরে খুন

প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

ডেক্স নিউজ 

অদ্য ১১ – জুলাই – রোজ শুক্রবার পুরান ঢাকার এক সাধারণ ব্যবসায়ী তিনি রাজনীতি করতেন না, পরিচিত ছিলেন একজন পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে। কিন্তু তার অপরাধ? শুধু এই যে, তিনি চাঁদা দেননি। আর সেই ‘অপরাধেই’ তাকে প্রকাশ্যে খুন করা হলো। এমন অন্যায় মেনে নেয়া যায় না

মানুষের সামনে, দিনের আলোয়, রাস্তায়। খুন করার পর তার নিথর দেহের উপর উঠে ঘৃণার এক পৈশাচিক নৃত্য পরিবেশন করলো খুনি। কেউ এগিয়ে আসেনি। সাহস করেনি। কারণ, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন প্রভাবশালী যুবদল নেতার পদপ্রার্থী।

এই লজ্জা কার? রাষ্ট্রের? নাকি আমাদের সবার একজন মানুষকে খুন করে, তার লাশের উপর দাঁড়িয়ে নাচে যাদের মন গলে না তারা মানুষ না, তারা সমাজের ভয়ংকরতম বিকৃতি। কীট

ডিএমপির একজন অতিরিক্ত কমিশনার বলেছেন, “যা হয়েছে, তা চিন্তার বাইরে।” কিন্তু আমরা কি আর চিন্তা করি? না হয় ভাবনার ক্ষমতা হারিয়েছি অনেক আগেই?

এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? যেখানে রাজনৈতিক পরিচয় বর্ম হয়ে দাঁড়ায়, আর ন্যায়ের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে যায় ভয় আর নির্লজ্জ নিরবতায়?

আজকে, ৫ আগস্টের পর ‘দেশের মালিক’ হয়ে ওঠা এক রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে মাথা না ঝোকানোর দায়ে একজন সাধারণ মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়।

নতুন দিনের স্বপ্ন আমরা দেখি ঠিকই, নতুন সংবিধানের কথা বলি, ‘হাসিনা মুক্ত’ আর ‘আওয়ামীলীগ মুক্ত’ বাংলাদেশ গড়ার কথা বলি। কিন্তু এই বাংলাদেশে যদি চাঁদা না দিলেই জীবন কেঁড়ে নেওয়া হয়, তাহলে সেই স্বপ্ন শুধু ধোঁয়া হয়ে মিলিয়ে যায়।

সবাই চুপ। কেউ কিছু বলে না। কেউ প্রতিবাদ করে না। শুধু একটা লাশ পড়ে থাকে রাস্তায়, আর আমরা মুখ ফিরিয়ে নেই।এই নীরবতা, এই লজ্জা কোথায় রাখি?জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম