০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফেনদৌসী বেগম নয়ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দমনের দাবিতে মানববন্ধন

  • প্রকাশের সময় : ০২:১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • 82

 

রিপোর্ট -গোলাম কিবরিয়া কুমিল্লা

রবিবার (৬ জুলাই) বিকেলে দক্ষিণ গ্রাম সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে কুমিল্লা-বাগড়া সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা হত্যা মামলার আসামি নূরজাহান বেগম, আনোয়ার হোসেন, রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুর ফাঁসি ও জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ এলাকার মাদক প্রতিরোধ করার দাবি তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত ফেরদৌসী বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা শামসুল আলম, দেবর আলমগীর হোসেন, ছেলে ইকরাম হোসেন, জামায়াতের সাবেক আমীর ও জেলা শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট অধ্যাপক মো. আবদুল আওয়াল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সমাজসেবক নোয়াব মিয়া মাস্টার, বিএনপি নেতা আবদুল হান্নান, মো. মফিজুল ইসলাম মাস্টার, এ কে এম আনোয়ার হোসেন স্বজন, ইউপি সদস্য বাবুল বেগ, ডাক্তার হাবিবুর রহমান শাহীন, ডাক্তার সাইফুল ইসলাম শাহিন, সিদ্দিকুর রহমান, হাজী খোরশেদ আলম, মো. সেলিম চৌধুরী, ফারুক মাস্টার, আবু কাউসার, সাবেক মেম্বার শাহীন আলম, ছাত্রদল নেতা জালাল উদ্দীন খান, নিজাম উদ্দিন, মো. শামীম উসমান, জাতীয় নাগরিক পাটি নেতা মো. সোহেল রানা, মো. মোজাম্মেল হক, সোহাগ মিয়া, সাইফুল আলম তুহিনসহ প্রায় এক হাজারের বেশি গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন ও সার্বিক আয়োজন এবং পরিচালনায় ছিলেন লোকমান হোসেন ও মো .কামরুল হাসান।

উল্লেখ্য, উপজেলার দক্ষিণগ্রাম সৌদি প্রবাসী সামছুল আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম গত ২৭ জুন নিখোঁজ হন। চার দিন পর ১ জুলাই দেবরের পরিত্যক্ত বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে ফেরদৌসীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান থানায় হত্যা মামলা করলে তদন্ত করে পুলিশ

পুলিশ জানায়, জায়গাজমি নিয়ে ফেরদৌসী বেগমের সঙ্গে জা নুরজাহান বেগমের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে নুরজাহান বেগম পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দুই লাখ টাকায় হত্যা চুক্তি করেন। আনোয়ার এই হত্যাকাণ্ডে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুকে যুক্ত করে। হত্যার পর ফেরদৌসীর স্বর্ণের গহনা শংকুচাইল বাজারে নন্দিতা জুয়েলার্সে বিক্রি করে দেয় হত্যাকারীরা।

পুলিশ সেই স্বর্ণ উদ্ধার করেন এবং ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন।
তারা হলেন জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০), মো. সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০), মমতাজ উদ্দিন মন্তাজের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১) এবং মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭)

জনপ্রিয়

উখিয়ায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে

ফেনদৌসী বেগম নয়ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দমনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০২:১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

রিপোর্ট -গোলাম কিবরিয়া কুমিল্লা

রবিবার (৬ জুলাই) বিকেলে দক্ষিণ গ্রাম সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে কুমিল্লা-বাগড়া সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা হত্যা মামলার আসামি নূরজাহান বেগম, আনোয়ার হোসেন, রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুর ফাঁসি ও জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ এলাকার মাদক প্রতিরোধ করার দাবি তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত ফেরদৌসী বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা শামসুল আলম, দেবর আলমগীর হোসেন, ছেলে ইকরাম হোসেন, জামায়াতের সাবেক আমীর ও জেলা শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট অধ্যাপক মো. আবদুল আওয়াল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সমাজসেবক নোয়াব মিয়া মাস্টার, বিএনপি নেতা আবদুল হান্নান, মো. মফিজুল ইসলাম মাস্টার, এ কে এম আনোয়ার হোসেন স্বজন, ইউপি সদস্য বাবুল বেগ, ডাক্তার হাবিবুর রহমান শাহীন, ডাক্তার সাইফুল ইসলাম শাহিন, সিদ্দিকুর রহমান, হাজী খোরশেদ আলম, মো. সেলিম চৌধুরী, ফারুক মাস্টার, আবু কাউসার, সাবেক মেম্বার শাহীন আলম, ছাত্রদল নেতা জালাল উদ্দীন খান, নিজাম উদ্দিন, মো. শামীম উসমান, জাতীয় নাগরিক পাটি নেতা মো. সোহেল রানা, মো. মোজাম্মেল হক, সোহাগ মিয়া, সাইফুল আলম তুহিনসহ প্রায় এক হাজারের বেশি গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন ও সার্বিক আয়োজন এবং পরিচালনায় ছিলেন লোকমান হোসেন ও মো .কামরুল হাসান।

উল্লেখ্য, উপজেলার দক্ষিণগ্রাম সৌদি প্রবাসী সামছুল আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম গত ২৭ জুন নিখোঁজ হন। চার দিন পর ১ জুলাই দেবরের পরিত্যক্ত বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে ফেরদৌসীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান থানায় হত্যা মামলা করলে তদন্ত করে পুলিশ

পুলিশ জানায়, জায়গাজমি নিয়ে ফেরদৌসী বেগমের সঙ্গে জা নুরজাহান বেগমের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে নুরজাহান বেগম পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দুই লাখ টাকায় হত্যা চুক্তি করেন। আনোয়ার এই হত্যাকাণ্ডে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুকে যুক্ত করে। হত্যার পর ফেরদৌসীর স্বর্ণের গহনা শংকুচাইল বাজারে নন্দিতা জুয়েলার্সে বিক্রি করে দেয় হত্যাকারীরা।

পুলিশ সেই স্বর্ণ উদ্ধার করেন এবং ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন।
তারা হলেন জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০), মো. সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০), মমতাজ উদ্দিন মন্তাজের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১) এবং মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭)