১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকদের মারপিটে যুবদল নেতার মৃত্যু

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • 12

তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মারপিটে সোহাগ সরদার (২৭) নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোহাগকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোহাগের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সোহাগের মরদেহ বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে রয়েছে।

নিহত সোহাগ চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আবেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি সন্তোষপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন। বছর দেড়েক আগে পারিবারিকভাবে বাগেরহাট সদর উপজেলার আদিখালি গ্রামের দীলু মাঝির মেয়ে ছনিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহাগ বুধবার শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। সোহাগকে বেধরক মারপিট করে, মুখে বিষ দিয়ে হাসপাতারে নিয়ে আসেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার পর থেকে সোহাগের স্ত্রী ছনিয়া আক্তার, শ্বশুর দিলু মাঝি’সহ ওই পরিবারের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে মারধরের সাথে জড়িত সন্দেহে রজো পাইক নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহতের স্বজনরা। সে এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

সোহাগের স্ত্রী ছনিয়া আক্তারের মায়ের সাথে মুঠোফোনে রজোর যোগাযোগের প্রমান পেয়েছে পুলিশ। রজো পাইক আদিখালি গ্রামের ইনছান পাইকের ছেলে।

সোহাগের বোন রেখা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সাথে সোহাগের সম্পর্ক ভাল ছিল না। যার ফলে সোহাগ তার স্ত্রীকে নিয়ে চিতলমারীতে ভাড়া থাকতেন। এর আগেও সোহাগের স্ত্রী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন সোহাগকে মারধর করেছে, হাসপাতালেও ভর্তি করা লেগেছে। আর গতকাল একেবারে আমার ভাইকে মেরে ফেলল। আমরা আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এটি হত্যা বা আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

জনপ্রিয়

পটিয়া চরকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সম্পন্ন

বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ির লোকদের মারপিটে যুবদল নেতার মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মারপিটে সোহাগ সরদার (২৭) নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোহাগকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোহাগের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সোহাগের মরদেহ বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে রয়েছে।

নিহত সোহাগ চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আবেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি সন্তোষপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন। বছর দেড়েক আগে পারিবারিকভাবে বাগেরহাট সদর উপজেলার আদিখালি গ্রামের দীলু মাঝির মেয়ে ছনিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহাগ বুধবার শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। সোহাগকে বেধরক মারপিট করে, মুখে বিষ দিয়ে হাসপাতারে নিয়ে আসেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার পর থেকে সোহাগের স্ত্রী ছনিয়া আক্তার, শ্বশুর দিলু মাঝি’সহ ওই পরিবারের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে মারধরের সাথে জড়িত সন্দেহে রজো পাইক নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহতের স্বজনরা। সে এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

সোহাগের স্ত্রী ছনিয়া আক্তারের মায়ের সাথে মুঠোফোনে রজোর যোগাযোগের প্রমান পেয়েছে পুলিশ। রজো পাইক আদিখালি গ্রামের ইনছান পাইকের ছেলে।

সোহাগের বোন রেখা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সাথে সোহাগের সম্পর্ক ভাল ছিল না। যার ফলে সোহাগ তার স্ত্রীকে নিয়ে চিতলমারীতে ভাড়া থাকতেন। এর আগেও সোহাগের স্ত্রী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন সোহাগকে মারধর করেছে, হাসপাতালেও ভর্তি করা লেগেছে। আর গতকাল একেবারে আমার ভাইকে মেরে ফেলল। আমরা আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এটি হত্যা বা আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।