
নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁদনী আক্তার কখনো চাঁদনী আক্তার হৃদয় মনি, কখনো চাঁদনী আক্তার মায়া। কখনো নৃত্যশিল্পী, কখনো প্রেমিকা, কখনো গায়িকা কিংবা কখনোইবা ঘরোয়া স্ত্রী,।
তার বহুরূপের আগুনে পুরুষদের মুগ্ধ করে ফাঁদে ফেলে।
৩০ বছর বয়সেই অন্তত একাধিক যুবককে বিয়ের ফাঁদে ফেলে কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকার সম্পদ। চাঁদনী আক্তার প্রতিবার বিয়ের সময় নিজের পরিচয় গোপন রেখে কুমারী হিসেবে বিয়ের করেন।
অথচ তালাশ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে প্রথম স্বামী কুমিল্লা বরদেশিয়া গ্রামের সাবেক সেনা কর্মকর্তা মোঃ-কাউসার আহমেদ ভূঁইয়া। দ্বিতীয় স্বামী: কুমিল্লা মৌলবীপাড়ার আশিকুর রহমান আশিক।তৃতীয় স্বামী: কুমিল্লা নাঙ্গলকোট কারীবাড়ি আরাফাতুল ইসলাম সাগর চতুর্থ স্বামী: কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শ্রীপুর গ্রামের ছেলে নুরনবী পঞ্চম ও বর্তমান স্বামী: জনি মিয়া, প্রবাসী (কুমিল্লা সদর বাড়ি
এ বিষয়ে আরাফাতুল ইসলাম সাগরের প্রথম স্ত্রী সিনথিয়া নিপা বলেন তার সংসার ভেঙে দিয়েছেন চাঁদনী আক্তার ও তার মা-বোন। নিপার দাবি, ৪৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে মানসিক রোগী বানিয়ে এবং সে নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় পাগলের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। চাঁদনী আক্তার তার প্রতিটি স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে অনুসন্ধানে দেখা যায়।
সাংবাদিকদের প্রস্নের মুখে পরলে মামলার ভয় দেখান এবং হুমকি দেন মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে ফোন করায় মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়
চাঁদনী আক্তারের প্রথম স্বামী কাউসার আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা জন্ম সনদ তৈরি করে মামলা করে তার কাছ থেকে এক কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নেন এ প্রতারক। প্রতারক চাঁদনী আক্তার সাগরের বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধেও নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন, যেগুলো পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
সুএে আরো জানা যায় আখি আক্তার নামক এক ভুক্তভোগী নারী বলেন। তার সংসারে ঢুকে চাঁদনী আক্তার ও তার দুই বোন মিলে তার স্বামীকে ফাঁদে ফেলে এবং পরিবারটিকে ধ্বংস করে দেন।
ভুক্তভোগী আখি রিদয ভাঙা কন্ঠ বলেন নারী হয়ে নারীর সংসার ভাঙার চেয়ে বড় অন্যায় আর হয় না।এক জন আইনজীবী বলেন যদি এসব মামলা আদালতে মিথ্যা বা বানোয়াট প্রমাণিত হয়, তাহলে ভুক্তভোগীরা প্রতারণা ও মানহানির মামলা করতে পারবে।
ফৌজদারি আইনে মিথ্যা সাক্ষ্যদানে শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। চাঁদনী আক্তার হৃদয় মনির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠে এসেছে, তা সমাজে নারীর নামে কলংক
তালাশ ক্রাইম দৃষ্টি কাছে প্রশ্ন রয়ে যায় — কবে থামবে এই প্রতারণার চক্র? প্রশাসন কি জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে?