১২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

অমর একুশে জুলাই -শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • 1

পশ্চিমবঙ্গ, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

আজ একুশে জুলাই, শহীদ দিবস, ঠিক দুপুর ১২ টায়, কলকাতা ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনে, একুশে জুলাই শহীদ মঞ্চে, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপস্থিতিতে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করলেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, দেবাশীষ কুমার, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, অতীন ঘোষ, মালা রায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, মিমি, সহ অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক ,সাংসদ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পৌর মাতা ,পৌরপিতা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও দুপুর একটায় মঞ্চে প্রবেশ করেন তার আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার সাথে সাথেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি শুরু হয়। একে একে সকলে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান, একুশে জুলাই কে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল সদস্যরা আসতে শুরু করেন এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় রাত্রি যাপন করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে তাদের সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়। আজকে সকাল থেকেই কিছু মানুষ মঞ্চের সামনে আসতে শুরু করেন, কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায় কোনরকম মিছিল সকাল ন’টা থেকে ১১ঃ০০ টা পর্যন্ত সভাস্তলে আসতে পারেননি, তারা বিভিন্ন স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকেন, সকাল এগারোটা বাজার সাথে সাথে, বিভিন্ন স্টেশন থেকে ও জেলা থেকে বিভিন্ন রাস্তা ধরে, নানা রকম প্রশেসনের মধ্য দিয়ে মঞ্চের সামনে আসতে শুরু করেন, প্রত্যেক এর কন্ঠে জয় ধ্বনিত হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জয়, মা মাটির মানুষের জয় ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় , প্রশাসনের তরফ থেকেও সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া থাকে।, যাতে সুশৃংখল ভাবে মিছিল মঞ্চের সামনে পৌঁছাতে পারে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি বেশ কয়েকটি অনুসন্ধান অফিস খোলা হয় যেখানে কোনরকম অসুবিধে হলে তৃণমূল সদস্যরা সেখানে অভিযোগ জানাতে পারেন।, এছাড়াও খোলা হেলথ ক্যাম্প, জলের ব্যবস্থা, এমনকি কোনরকম শারীরিক অসুবিধা হলে ডাক্তাররাও উপস্থিত ছিলেন, তবে আজকে প্রচন্ড গরমে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি অক্সিজেন দিতেও দেখা যায়। তবে কোনরকম বড় কিছু দুর্ঘটনা ঘটে নি, সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনি এক গরীব মানুষের ১০০ দিনের টাকা আটকেছেন, গায়ের জোরে, বেশ কিছু প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন, ভেবেছেন পশ্চিমবাংলায় গরীব মানুষকে জব্দ করবেন, মা মাটি মানুষের সরকারকে আপনি কোনদিনও জব্দ করতে পারবেন না, বাঙ্গালীদের রাজবংশী বলে জেলে আটকে দিচ্ছেন, ভোটার কার্ড বাতিল করছেন, বাঙ্গালীদের মুখ থেকে বাংলা ভাষাকে বন্ধ করার জন্য আমি আইন প্রণয়ন করছেন ,যে বাংলায় কবি ,সাহিত্যিক , শিল্পীরা জন্মেছেন, তাদেরকে আপনি অপমান করছেন, অপেক্ষা করুন আর মাত্র ১০ মাস বাকী, তারপর আপনাকে জয় বাংলা বলাবো, পদ্মফুলকে ধুয়ে পুঁছে উবড়ে ফেলে ২৬ শে খেলা হবে, বাংলা থেকে বিজেপিকে ধুয়ে পুছে সাফ করে দেব, আজ আপনি জয় দুর্গা জয় মা কালী বলছেন, এটাই তৃণমূলের জয়, আদিবাসী, তফসিলি,শ্রমিক, কৃষক সবার জয়, হয় মা মাটির মানুষের জয়। জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়, এখান থেকেই আমাদের তৃণমূল কর্মীরা শপথ নেবে, ২৬ এর ভোটে বিজেপি শেষ। ‌ কত আমি বাঙ্গালীদের অপমান করবেন বিদ্রুপ করবেন করে নিন। আমরা তাদের পাশে আছি, মা মাটির মানুষ পাশে আছে। আজকের মঞ্চে প্রধান বক্তা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই মঞ্চ ও সমাবেশ, তাদের পরিবারের কাছে প্রথমে আমরা কৃতজ্ঞ উপস্থিত হওয়ার জন্য, আজ শহীদদের পরিবারেরাও উপস্থিত হয়েছেন মঞ্চে, তিনি মঞ্চে তীব্র ভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে, বাংলা ভাষা ও এন আর সি কে নিয়ে, শহীদ স্মরণে এসে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরেন, এবং কোন প্রকল্পে মানুষ কতটা উপকৃত হয়েছেন, পরিবার উপকৃত হয়েছেন, তার হিসাবও দেন, তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন , আমরা কর্মশ্রী প্রকল্প করে ২৭ লক্ষ মানুষকে কাজ দিয়েছি। ৪০% বেকারত্ব কমিয়েছি, শিক্ষাশ্রী তে এক কোটি ২৫ লক্ষ ছাত্রী উপকৃত, এসি ওবিসি সার্টিফিকেট পেয়েছে দু কোটিরও বেশি মানুষ, কন্যাশ্রী পি এইচ এ ৭ লক্ষ ৬৫ হাজারেরও বেশি, তফসিলি বন্ধু পেয়েছেন ১০ লক্ষ ৩৫ হাজারেরও বেশি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে উপকৃত হয়েছেন ৫০ লক্ষরও বেশি মানুষ, বার্ধক্য ভাতা পেয়েছেন ৩৩ লক্ষ ১৯ হাজারেরও বেশি, এইভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষ উপকৃত হয়েছেন, কিন্তু আপনি বছরে ২২ কোটি চাকরি সংস্থান দেবেন বলেছিলেন দিতে পারেননি , তৃণমূল কংগ্রেস যা বলে তা করে দেখায়, আপনি মানুষকে ভাওতা দিতে থাকেন, উপরন্তু বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার, হিংসা নামিয়ে আনছেন, রোহিঙ্গা বলে আটকে রাখছেন, ভোটার কার্ড বাতিল করছেন, যারা ৫০ বছর ধরে বাংলায় বাস করছেন তাদের ভোটার কার্ডও বাতিল করছেন।, বাংলাদেশী বলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশে, ৯০ লক্ষ ভোটার কার্ড আমি বাতিল করেছেন, এন আর সির নামে, আমরা এই শহীদ স্মরণ ৩৩ বছর ধরে করে চলেছি, এখান থেকেই বিভিন্ন প্রকল্প প্রতিবছর ঘোষণা করেছি তার একটি ও বন্ধ হয়নি। মা মাটির সরকার সেই প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। একটা কথা জেনে রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম এমনি হয়নি।, বহু ঘাত প্রতিঘাত ও‌ লড়াই এর মধ্য দিয়ে তৃণমূলের জন্ম হয়েছে, তাই অন্যায় করলে ও অন্যান্য বললে তৃণমূল ছেড়ে কথা বলে না, সাপের মতো আচরণ করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই, আমাদের বাংলায় তফসিলি, মুসলিম, আদিবাসী সকল সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে, কিন্তু আমরা কারো পায়ে কামড় দিতে যাই না। আরো একটা কথা জেনে রাখবেন, আমরা যদি আপনার আইনের মধ্য দিয়ে, জেলে যেতে হয় তাও আমরা বৃক্ষ হয়ে জন্মাবো, আর ডাল পালা ছড়িয়ে পড়বে সারা বাংলায়, বাংলার মানুষ জবাব দেবে কাকে চায়, আসছি ২০২৬ এর নির্বাচন, মাঝে কয়েকটা মাস, আবার বাংলার মানুষ আপনাকে উচিত শিক্ষা দেবে, আমি বাংলা দখল করেছি, আবার করব ২০২৬-এ, এমনকি ইন্ডিয়াও দখল করবো, জনগণ বিজেপির পদ্মফুলকে উপড়ে ফেলে দেবে, আমি বাঙালীর দুর্গোপূজাকে বন্ধ করতে চেয়েছেন, জগন্নাথ মন্দির কে কেন্দ্র করে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করেছেন, কিন্তূ আটকে রাখতে পারেননি, আমাকে কোন কিছুতেই আটকে রাখতে পারবেন না, আজ সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল সদস্যরা, জগন্নাথ ধাম কাঁদে করে মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন। শুধু তাই নয় মায়েরা লক্ষী ভান্ডার সঙ্গে করে এনেছেন, লক্ষ্মী ভান্ডার চায়। তাই তৃণমূল সরকার কোনো প্রকল্প বন্ধ করতে দেবেনা, আজ বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মী এসে উপস্থিত হয়েছেন।

জনপ্রিয়

অমর একুশে জুলাই -শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

অমর একুশে জুলাই -শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গ, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

আজ একুশে জুলাই, শহীদ দিবস, ঠিক দুপুর ১২ টায়, কলকাতা ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনে, একুশে জুলাই শহীদ মঞ্চে, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপস্থিতিতে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করলেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, দেবাশীষ কুমার, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, অতীন ঘোষ, মালা রায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, মিমি, সহ অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক ,সাংসদ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পৌর মাতা ,পৌরপিতা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও দুপুর একটায় মঞ্চে প্রবেশ করেন তার আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার সাথে সাথেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি শুরু হয়। একে একে সকলে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান, একুশে জুলাই কে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল সদস্যরা আসতে শুরু করেন এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় রাত্রি যাপন করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে তাদের সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়। আজকে সকাল থেকেই কিছু মানুষ মঞ্চের সামনে আসতে শুরু করেন, কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায় কোনরকম মিছিল সকাল ন’টা থেকে ১১ঃ০০ টা পর্যন্ত সভাস্তলে আসতে পারেননি, তারা বিভিন্ন স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকেন, সকাল এগারোটা বাজার সাথে সাথে, বিভিন্ন স্টেশন থেকে ও জেলা থেকে বিভিন্ন রাস্তা ধরে, নানা রকম প্রশেসনের মধ্য দিয়ে মঞ্চের সামনে আসতে শুরু করেন, প্রত্যেক এর কন্ঠে জয় ধ্বনিত হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জয়, মা মাটির মানুষের জয় ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় , প্রশাসনের তরফ থেকেও সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া থাকে।, যাতে সুশৃংখল ভাবে মিছিল মঞ্চের সামনে পৌঁছাতে পারে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি বেশ কয়েকটি অনুসন্ধান অফিস খোলা হয় যেখানে কোনরকম অসুবিধে হলে তৃণমূল সদস্যরা সেখানে অভিযোগ জানাতে পারেন।, এছাড়াও খোলা হেলথ ক্যাম্প, জলের ব্যবস্থা, এমনকি কোনরকম শারীরিক অসুবিধা হলে ডাক্তাররাও উপস্থিত ছিলেন, তবে আজকে প্রচন্ড গরমে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি অক্সিজেন দিতেও দেখা যায়। তবে কোনরকম বড় কিছু দুর্ঘটনা ঘটে নি, সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনি এক গরীব মানুষের ১০০ দিনের টাকা আটকেছেন, গায়ের জোরে, বেশ কিছু প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন, ভেবেছেন পশ্চিমবাংলায় গরীব মানুষকে জব্দ করবেন, মা মাটি মানুষের সরকারকে আপনি কোনদিনও জব্দ করতে পারবেন না, বাঙ্গালীদের রাজবংশী বলে জেলে আটকে দিচ্ছেন, ভোটার কার্ড বাতিল করছেন, বাঙ্গালীদের মুখ থেকে বাংলা ভাষাকে বন্ধ করার জন্য আমি আইন প্রণয়ন করছেন ,যে বাংলায় কবি ,সাহিত্যিক , শিল্পীরা জন্মেছেন, তাদেরকে আপনি অপমান করছেন, অপেক্ষা করুন আর মাত্র ১০ মাস বাকী, তারপর আপনাকে জয় বাংলা বলাবো, পদ্মফুলকে ধুয়ে পুঁছে উবড়ে ফেলে ২৬ শে খেলা হবে, বাংলা থেকে বিজেপিকে ধুয়ে পুছে সাফ করে দেব, আজ আপনি জয় দুর্গা জয় মা কালী বলছেন, এটাই তৃণমূলের জয়, আদিবাসী, তফসিলি,শ্রমিক, কৃষক সবার জয়, হয় মা মাটির মানুষের জয়। জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়, এখান থেকেই আমাদের তৃণমূল কর্মীরা শপথ নেবে, ২৬ এর ভোটে বিজেপি শেষ। ‌ কত আমি বাঙ্গালীদের অপমান করবেন বিদ্রুপ করবেন করে নিন। আমরা তাদের পাশে আছি, মা মাটির মানুষ পাশে আছে। আজকের মঞ্চে প্রধান বক্তা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই মঞ্চ ও সমাবেশ, তাদের পরিবারের কাছে প্রথমে আমরা কৃতজ্ঞ উপস্থিত হওয়ার জন্য, আজ শহীদদের পরিবারেরাও উপস্থিত হয়েছেন মঞ্চে, তিনি মঞ্চে তীব্র ভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে, বাংলা ভাষা ও এন আর সি কে নিয়ে, শহীদ স্মরণে এসে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরেন, এবং কোন প্রকল্পে মানুষ কতটা উপকৃত হয়েছেন, পরিবার উপকৃত হয়েছেন, তার হিসাবও দেন, তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন , আমরা কর্মশ্রী প্রকল্প করে ২৭ লক্ষ মানুষকে কাজ দিয়েছি। ৪০% বেকারত্ব কমিয়েছি, শিক্ষাশ্রী তে এক কোটি ২৫ লক্ষ ছাত্রী উপকৃত, এসি ওবিসি সার্টিফিকেট পেয়েছে দু কোটিরও বেশি মানুষ, কন্যাশ্রী পি এইচ এ ৭ লক্ষ ৬৫ হাজারেরও বেশি, তফসিলি বন্ধু পেয়েছেন ১০ লক্ষ ৩৫ হাজারেরও বেশি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে উপকৃত হয়েছেন ৫০ লক্ষরও বেশি মানুষ, বার্ধক্য ভাতা পেয়েছেন ৩৩ লক্ষ ১৯ হাজারেরও বেশি, এইভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষ উপকৃত হয়েছেন, কিন্তু আপনি বছরে ২২ কোটি চাকরি সংস্থান দেবেন বলেছিলেন দিতে পারেননি , তৃণমূল কংগ্রেস যা বলে তা করে দেখায়, আপনি মানুষকে ভাওতা দিতে থাকেন, উপরন্তু বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার, হিংসা নামিয়ে আনছেন, রোহিঙ্গা বলে আটকে রাখছেন, ভোটার কার্ড বাতিল করছেন, যারা ৫০ বছর ধরে বাংলায় বাস করছেন তাদের ভোটার কার্ডও বাতিল করছেন।, বাংলাদেশী বলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশে, ৯০ লক্ষ ভোটার কার্ড আমি বাতিল করেছেন, এন আর সির নামে, আমরা এই শহীদ স্মরণ ৩৩ বছর ধরে করে চলেছি, এখান থেকেই বিভিন্ন প্রকল্প প্রতিবছর ঘোষণা করেছি তার একটি ও বন্ধ হয়নি। মা মাটির সরকার সেই প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। একটা কথা জেনে রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম এমনি হয়নি।, বহু ঘাত প্রতিঘাত ও‌ লড়াই এর মধ্য দিয়ে তৃণমূলের জন্ম হয়েছে, তাই অন্যায় করলে ও অন্যান্য বললে তৃণমূল ছেড়ে কথা বলে না, সাপের মতো আচরণ করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই, আমাদের বাংলায় তফসিলি, মুসলিম, আদিবাসী সকল সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে, কিন্তু আমরা কারো পায়ে কামড় দিতে যাই না। আরো একটা কথা জেনে রাখবেন, আমরা যদি আপনার আইনের মধ্য দিয়ে, জেলে যেতে হয় তাও আমরা বৃক্ষ হয়ে জন্মাবো, আর ডাল পালা ছড়িয়ে পড়বে সারা বাংলায়, বাংলার মানুষ জবাব দেবে কাকে চায়, আসছি ২০২৬ এর নির্বাচন, মাঝে কয়েকটা মাস, আবার বাংলার মানুষ আপনাকে উচিত শিক্ষা দেবে, আমি বাংলা দখল করেছি, আবার করব ২০২৬-এ, এমনকি ইন্ডিয়াও দখল করবো, জনগণ বিজেপির পদ্মফুলকে উপড়ে ফেলে দেবে, আমি বাঙালীর দুর্গোপূজাকে বন্ধ করতে চেয়েছেন, জগন্নাথ মন্দির কে কেন্দ্র করে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করেছেন, কিন্তূ আটকে রাখতে পারেননি, আমাকে কোন কিছুতেই আটকে রাখতে পারবেন না, আজ সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল সদস্যরা, জগন্নাথ ধাম কাঁদে করে মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন। শুধু তাই নয় মায়েরা লক্ষী ভান্ডার সঙ্গে করে এনেছেন, লক্ষ্মী ভান্ডার চায়। তাই তৃণমূল সরকার কোনো প্রকল্প বন্ধ করতে দেবেনা, আজ বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মী এসে উপস্থিত হয়েছেন।