
সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয় এটি একটি দায়বদ্ধতা একটি সংগ্রাম এবং সর্বোপরি সত্যের পক্ষে অবিচল অবস্থান। সমাজে যখন বিভ্রান্তি, অন্যায়, দুর্নীতি বা অবিচারের অন্ধকার ঘনিয়ে আসে, তখন একজন সাংবাদিকের কলমই হয়ে ওঠে আলো হয়ে পথ দেখানোর হাতিয়ার। বর্তমান বিশ্বে তথ্যের সহজলভ্যতা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মিথ্যা তথ্য বা গুজবের প্রভাবও। বিংিবাদিকদের প্রেক্ষাপটে ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কারণ, তাদের হাতেই ওঠে সেই বার্তা, যা জনমত তৈরি করে, নর্ধারণে প্রভাব ফেলে, এবং নাগরিকদের সচেতন করে তোলে।
একজন প্রকৃত সাংবাদিক কখনোই কেবল খবর সংগ্রহ করেন নাড়তনি খোঁজেন এর গভীরতর সত্য। কে দোষী আর কে নির্দোষ, কোন খবরটি জনস্বার্থে জরুরি, আর কোনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-এই বাছ-বিচার সাংবাদিকতার নৈতিকতা মৌলিক দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অনেক সময় সাংবাদিকতার উপর রাজনৈি তক ও ব্যবসায়িক চাপ পড়ে তখন সত্য চাপা পড়ে মুনাফার নিচে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, সেইসব সাংবাদিকই বেঁচে থাকেন মানুষের মনে, যাঁরা মোঃ জুয়েল রানা-মজুমদার (সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মী) ভয়কে জয় করে সত্য প্রকাশ করেছেন।
সাংবাদিকতার আদর্শিক মূলনীতিগুলো হচ্ছে নীতি নিরপেক্ষতা, সত্যনিষ্ঠা, জবাব- দিহিতা এবং জনগণের পক্ষে অবস্থান। গণতন্ত্রের ভিত্তিকে মজবুত করতে এবং সমাজকে ন্যায় ও নৈতিকতার পথে পরিচালিত করতে সাংবাদিকরা এক অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে আমাদের আবেদন-তোমরা সাংবাদিকতা পেশায় এগিয়ে এসো সত্য ও ন্যায়ের সহযোদ্ধা হয়ে। মনে রেখো, একটি কলম, একটি প্রতিবেদন কিংবা একটি ছবি-পরিবর্তন এনে দিতে পারে পুরো জাতির চেতনা সাংবাদিকতা শুধু খবর দেওয়া নয়, এটা সত্যের পক্ষে