
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলোচিত – সমালোচিত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশাকে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
আজ ১২ জুলাই শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন করেছেন।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এমদাদুল হক বাদশার প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করে তাকে সব পর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ভবিষ্যতে এমদাদুল হক বাদশা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে বেআইনি কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে এমদাদুল হক বাদশাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামে যুবদলের একাংশ চাপা ক্ষোভ ও অন্য পক্ষে আনন্দ উচ্ছাস সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, ভিন্ন ভিন্ন মতামত। কেউ কেউ বলছেন একজন ত্যাগী কর্মীকে বহিষ্কার করে অবিচার করা হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন এমদাদুল হক বাদশার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করে একটা ভালো কাজ করছেন এবং দলকে চাঁদাবাজ মুক্ত করতে এ বহিষ্কার আদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে বহিষ্কারের বিষয় নিয়ে সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সংগঠন যেহেতু করি, সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করবো এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। তবে আমি হতাশ নই। বলতে গেলে আমি একটি ষড়যন্ত্রের শিকার।