
রিপোর্ট -সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
আজ ১২ ই জুলাই শনিবার, বৃহস্পতিবার ঠিক রাত্রি দশটা নাগাদ পার্টি অফিস থেকে যখন তৃণমূল নেতা রাজ্জাক খান বাড়ী ফিরছিলেন, ঠিক বাড়ী ফেরার পথে বিজয়গঞ্জ বাজারের সামনে দুস্কৃতিরা তাকে অতর্কিতে গুলি করে , পরপর চারবার তাকে গুলি করা হয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলায় অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।
চালতাবেড়িয়া অঞ্চলে তৃণমূল সভাপতি রাজ্জাক এর খুনের খবর পাওয়ার সাথে সাথে দলীয় কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, এবং ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙরের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা ও রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন,
এবং ঘটনাস্থলে রাতেই পৌঁছান কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা, তিনি প্রায় রাত দুটো পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন, পৌঁছান গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ পুকুর। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙরের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, আই এস এফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে।,
সাথে সাথে উপস্থিত মৃত রাজ্জাকের দাদা আব্দুল কাদের , শওকত মোল্লার এই দাবী নস্যাৎ করে বলেন, তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ভাইকে খুন হতে হয়েছে। খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। সবার মনে প্রশ্ন উঠেছে, কি কারনে শাসক দলের জনপ্রিয় নেতা রাজ্জাককে খুন হতে হলো,
এবং খুন করা হয়েছে নিখু ঁত পরিকল্পনায়, এমন একটি জায়গায় খুন হতে হয়েছে যেখানে একদিকে ভেরি অন্যদিকে ঝোপঝাড়। খুনের পর রাজ্জাককে নিয়ে যাওয়া হয় হসপিটালে ময়নাতদন্তের জন্য, এবং শুক্রবার ময়না তদন্তের শেষে নিহত তৃণমূল নেতার দেহ এলাকায় পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছান গোয়েন্দা প্রধান রুপেস কুমার, বেশ কিছুকে কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, এবং ৩-৪ জনকে আটক করেন জিজ্ঞাসাবাদীর জন্য।
এই ঘটনায় দলীয় কর্মীদের মধ্যে একটা চাপান উত্তর দেখা যায়, পুলিশ পিকেট বসানো হয়, চলছে পুলিশি টহল, পরিবারের তরফ থেকে একটাই কথা উঠে আসে, ইলমে দোষীদের বের করে শাস্তি দিতে হবে। পরিবারেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।