০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩নোয়াখালী এর অভিযানে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাকসুদুর রহমান প্রঃ হেঞ্জু (৪০) কে খাগড়াছড়ি হতে গ্রেফতার

  • প্রকাশের সময় : ১০:২৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • 30

নিউজ – ডেক্স 

র‍্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র‍্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী, ধর্ষণকারী ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‍্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র‍্যাব-৭, সিপিসি-১, ফেনী এর যৌথ আভিযানিক দল লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার মামলা নং-১১, তারিখ-১৫/০৬/২০০৯ইং, দায়রা-১৮৫/০৯, ধারা- ৩০২ পেনাল কোড মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ২০,০০০/-টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত আসামী মাকসুদুর রহমান প্রঃ মাসুদুর রহমান প্রঃ হেঞ্জু (৪০) পিতা-জয়নাল আবেদীন, সাং-দক্ষিণ টুমচর, থানা-রামগতি, জেলা-লক্ষ্মীপুরকে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানাধীন রামগড় বাজার এলাকা হতে ইং-১০/০৭/২০২৫ তারিখ অনুমান ১৮.০০ ঘটিকায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মাকসুদুর রহমান প্রঃ মাসুদুর রহমান প্রঃ হেঞ্জু (৪০), পিতা-জয়নাল আবেদীন, সাং-দক্ষিণ টুমচর, থানা-রামগতি, জেলা-লক্ষ্মীপুর সূত্রোক্ত মামলার ভিকটিম বিবি রহিমা এর স্বামী এবং মামলার বাদী জামাল উদ্দিনের জামাতা। ঘটনার দিন বিগত ইং-১৫/০৬/২০০৯ তারিখ আসামী ও ভিকটিমের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হওয়ায় বর্ণিত আসামী তার নিজ বাড়ীতে ভিকটিমকে হাত-পা বেধে মারধর করতঃ শ্বাসরোধ করে খুন করে।

পরবর্তীতে আসামী কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাদী, তার ছেলে ইসমাইল ও শ্যালক আবু তাহের এর সহায়তায় আসামীকে ধরে থানায় নিয়ে এসে এজাহার দায়ের করলে সূত্রোক্ত মামলাটি রুজু হয়।

উল্লেখিত হত্যা মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত ইং-২৪/০১/২০১৮ তারিখে দন্ডবিধি ৩০২ ধারা মোতাবেক আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০/-টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০১ বছর কারাদন্ড প্রদান করে।

মামলার রায়ের পর হতে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে উক্ত আসামী দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর আভিযানিক দল উক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে।

এরই প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র‍্যাব-৭, সিপিসি-১, ফেনী এর যৌথ আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অদ্য ১০ জুলাই ২০২৫ইং তারিখ অনুমান ১৮.০০ ঘটিকায় খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানাধীন রামগড় বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে বর্ণিত নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সূত্রোক্ত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী বলে স্বীকার করে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন আছে

জনপ্রিয়

অমর একুশে জুলাই -শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩নোয়াখালী এর অভিযানে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাকসুদুর রহমান প্রঃ হেঞ্জু (৪০) কে খাগড়াছড়ি হতে গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ১০:২৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

নিউজ – ডেক্স 

র‍্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র‍্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী, ধর্ষণকারী ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‍্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র‍্যাব-৭, সিপিসি-১, ফেনী এর যৌথ আভিযানিক দল লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার মামলা নং-১১, তারিখ-১৫/০৬/২০০৯ইং, দায়রা-১৮৫/০৯, ধারা- ৩০২ পেনাল কোড মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ২০,০০০/-টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত আসামী মাকসুদুর রহমান প্রঃ মাসুদুর রহমান প্রঃ হেঞ্জু (৪০) পিতা-জয়নাল আবেদীন, সাং-দক্ষিণ টুমচর, থানা-রামগতি, জেলা-লক্ষ্মীপুরকে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানাধীন রামগড় বাজার এলাকা হতে ইং-১০/০৭/২০২৫ তারিখ অনুমান ১৮.০০ ঘটিকায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মাকসুদুর রহমান প্রঃ মাসুদুর রহমান প্রঃ হেঞ্জু (৪০), পিতা-জয়নাল আবেদীন, সাং-দক্ষিণ টুমচর, থানা-রামগতি, জেলা-লক্ষ্মীপুর সূত্রোক্ত মামলার ভিকটিম বিবি রহিমা এর স্বামী এবং মামলার বাদী জামাল উদ্দিনের জামাতা। ঘটনার দিন বিগত ইং-১৫/০৬/২০০৯ তারিখ আসামী ও ভিকটিমের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হওয়ায় বর্ণিত আসামী তার নিজ বাড়ীতে ভিকটিমকে হাত-পা বেধে মারধর করতঃ শ্বাসরোধ করে খুন করে।

পরবর্তীতে আসামী কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাদী, তার ছেলে ইসমাইল ও শ্যালক আবু তাহের এর সহায়তায় আসামীকে ধরে থানায় নিয়ে এসে এজাহার দায়ের করলে সূত্রোক্ত মামলাটি রুজু হয়।

উল্লেখিত হত্যা মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত ইং-২৪/০১/২০১৮ তারিখে দন্ডবিধি ৩০২ ধারা মোতাবেক আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০/-টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০১ বছর কারাদন্ড প্রদান করে।

মামলার রায়ের পর হতে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে উক্ত আসামী দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর আভিযানিক দল উক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে।

এরই প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র‍্যাব-৭, সিপিসি-১, ফেনী এর যৌথ আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অদ্য ১০ জুলাই ২০২৫ইং তারিখ অনুমান ১৮.০০ ঘটিকায় খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানাধীন রামগড় বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে বর্ণিত নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সূত্রোক্ত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী বলে স্বীকার করে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন আছে