০১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

বন্দরনগরীতে আন্তঃনগর ট্রেনের দাবি, মোংলায় জনসাধারণের মানববন্ধন

  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • 38

 

তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বন্দর ও পর্যটননগরী মোংলা থেকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টায় পৌরসভা চত্বরে ‘মোংলাবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, পরিবেশবাদী ও পর্যটন খাতের প্রতিনিধিরা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সংঘের সভাপতি ও পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক মো. নূর আলম শেখ।
বক্তব্য রাখেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. জুলফিকার আলী, মোংলা বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি মো. হাবিব মাস্টার, মোংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব হাসান, সাবেক কাউন্সিলর আ. কাদের, পর্যটন ব্যবসায়ী ও জামায়াতে ইসলামীর পৌর নেতা মো. আনিসুর রহমান, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের মো. এমাদুল হাওলাদার ও মাঝিমাল্লা ইউনিয়নের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন।

বক্তারা বলেন, মোংলা কেবল একটি সমুদ্রবন্দর নয়; এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর হিসেবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। পাশাপাশি এখানে ইপিজেড, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিল্পপার্ক এবং পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠছে। এই বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে একটি আধুনিক ও সরাসরি রেল সংযোগের বিকল্প নেই। বর্তমানে মোংলা থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি কোনো আন্তঃনগর রেল চলাচল না থাকায় এখানকার ব্যবসা, বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় মোংলা-ঢাকা ও ঢাকা-মোংলা আন্তঃনগর ট্রেন চালু অপরিহার্য হয়ে পড়েছে

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র মো. জুলফিকার আলী বলেন, “যদি মোংলা-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়, তাহলে বন্দরনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে। শিল্প ও লজিস্টিক খাতের সঙ্গেও ঢাকার সরাসরি সংযোগ তৈরি হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।”

পর্যটন খাতের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বলেন, “মোংলা থেকে ট্রেনে সরাসরি ঢাকা যাতায়াত সম্ভব হলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য এটি একটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম হতে পারে।”

জামায়াত নেতা এম এ বারী বলেন, “রেল যোগাযোগ চালু হলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবীরা সহজে ও কম খরচে রাজধানী পৌঁছাতে পারবে, সময় বাঁচবে, ব্যয়ও কমবে।”

সভাপতির বক্তব্যে মো. নূর আলম শেখ বলেন, “আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে মোংলা-ঢাকা এবং ঢাকা-মোংলা আন্তঃনগর ট্রেন চালু করতে হবে। এটি শুধু একটি যোগাযোগ মাধ্যম নয়, বরং পুরো অঞ্চলের অর্থনীতি, শিল্প, পরিবেশ এবং পর্যটনের সমন্বিত উন্নয়নের চাবিকাঠি হতে পারে।”

মানববন্ধন শেষে মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর একটি লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়

জনপ্রিয়

অমর একুশে জুলাই -শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

বন্দরনগরীতে আন্তঃনগর ট্রেনের দাবি, মোংলায় জনসাধারণের মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

 

তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বন্দর ও পর্যটননগরী মোংলা থেকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টায় পৌরসভা চত্বরে ‘মোংলাবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, পরিবেশবাদী ও পর্যটন খাতের প্রতিনিধিরা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সংঘের সভাপতি ও পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক মো. নূর আলম শেখ।
বক্তব্য রাখেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. জুলফিকার আলী, মোংলা বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি মো. হাবিব মাস্টার, মোংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব হাসান, সাবেক কাউন্সিলর আ. কাদের, পর্যটন ব্যবসায়ী ও জামায়াতে ইসলামীর পৌর নেতা মো. আনিসুর রহমান, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের মো. এমাদুল হাওলাদার ও মাঝিমাল্লা ইউনিয়নের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন।

বক্তারা বলেন, মোংলা কেবল একটি সমুদ্রবন্দর নয়; এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর হিসেবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। পাশাপাশি এখানে ইপিজেড, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিল্পপার্ক এবং পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠছে। এই বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে একটি আধুনিক ও সরাসরি রেল সংযোগের বিকল্প নেই। বর্তমানে মোংলা থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি কোনো আন্তঃনগর রেল চলাচল না থাকায় এখানকার ব্যবসা, বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় মোংলা-ঢাকা ও ঢাকা-মোংলা আন্তঃনগর ট্রেন চালু অপরিহার্য হয়ে পড়েছে

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র মো. জুলফিকার আলী বলেন, “যদি মোংলা-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়, তাহলে বন্দরনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে। শিল্প ও লজিস্টিক খাতের সঙ্গেও ঢাকার সরাসরি সংযোগ তৈরি হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।”

পর্যটন খাতের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বলেন, “মোংলা থেকে ট্রেনে সরাসরি ঢাকা যাতায়াত সম্ভব হলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য এটি একটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম হতে পারে।”

জামায়াত নেতা এম এ বারী বলেন, “রেল যোগাযোগ চালু হলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবীরা সহজে ও কম খরচে রাজধানী পৌঁছাতে পারবে, সময় বাঁচবে, ব্যয়ও কমবে।”

সভাপতির বক্তব্যে মো. নূর আলম শেখ বলেন, “আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে মোংলা-ঢাকা এবং ঢাকা-মোংলা আন্তঃনগর ট্রেন চালু করতে হবে। এটি শুধু একটি যোগাযোগ মাধ্যম নয়, বরং পুরো অঞ্চলের অর্থনীতি, শিল্প, পরিবেশ এবং পর্যটনের সমন্বিত উন্নয়নের চাবিকাঠি হতে পারে।”

মানববন্ধন শেষে মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর একটি লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়