০২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

বাগেরহাটে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • 36

 

তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত যুবক বিশ্বাস নাজমুল হাসান (২৫) উপজেলার বালিডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বাস আ. হকের ছেলে।

পুলিশ জানান, বুধবার (২ জুলাই) সকালে খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম শামীম, ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর ও উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আ. রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন ওই যুব ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতের বাবা বিশ্বাস আ. হক বলেন, নাজমুল হাসান বেশকিছুদিন ধরে চিন্তায় বিষন্নতায় ভুগছিলেন। ছেলের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চিন্তার কারণ সম্পর্কে পরিবারকে সে কিছু বলেনি।

মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, “আব্বা, আম্মা, হাজেলা আপা, জিয়া ভাই, জিনিয়া তারকরিমসহ সবাই আমাকে মাফ করে দিও, সবাই ভাল থেকো, আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ি না। হিংসা অহংকার মানুষকে শেষ করে দেয়। আমি ততটা মানুষিক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারছি না, তাই এই পথ বেছে নিলাম। নিজেকে নিজেই বিরক্ত লাগছে, কিছু মানুষ আমার কাছে টাকা পাবে দিয়ে দিও। আর আমার আব্বা হলো পরিবারের রাজা, কিন্তু আমি যা করেছি তার জন্য নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না। তাই এই পথ বেছে নিলাম।” সবার অপ্রিয় বিশ্বাস নাজমুল।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। পাশে যে চিরকুট লেখা পাওয়া গেছে তা ওই যুবকের লেখা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যাবে বলে জানান তিনি।

জনপ্রিয়

অমর একুশে জুলাই -শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

বাগেরহাটে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

তরিকুল মোল্লা, বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত যুবক বিশ্বাস নাজমুল হাসান (২৫) উপজেলার বালিডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বাস আ. হকের ছেলে।

পুলিশ জানান, বুধবার (২ জুলাই) সকালে খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম শামীম, ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর ও উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আ. রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন ওই যুব ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতের বাবা বিশ্বাস আ. হক বলেন, নাজমুল হাসান বেশকিছুদিন ধরে চিন্তায় বিষন্নতায় ভুগছিলেন। ছেলের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চিন্তার কারণ সম্পর্কে পরিবারকে সে কিছু বলেনি।

মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, “আব্বা, আম্মা, হাজেলা আপা, জিয়া ভাই, জিনিয়া তারকরিমসহ সবাই আমাকে মাফ করে দিও, সবাই ভাল থেকো, আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ি না। হিংসা অহংকার মানুষকে শেষ করে দেয়। আমি ততটা মানুষিক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারছি না, তাই এই পথ বেছে নিলাম। নিজেকে নিজেই বিরক্ত লাগছে, কিছু মানুষ আমার কাছে টাকা পাবে দিয়ে দিও। আর আমার আব্বা হলো পরিবারের রাজা, কিন্তু আমি যা করেছি তার জন্য নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না। তাই এই পথ বেছে নিলাম।” সবার অপ্রিয় বিশ্বাস নাজমুল।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। পাশে যে চিরকুট লেখা পাওয়া গেছে তা ওই যুবকের লেখা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যাবে বলে জানান তিনি।