০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মো: মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা

  • প্রকাশের সময় : ১১:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • 38

 

বাগেরহাট প্রতিনিধি

শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মোঃ মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, মো: মনিরুল ইসলাম জেলা শিক্ষা অফিসের বিভিন্ন কাজ উৎকোচের মাধ্যমে করিয়ে থাকেন এবং শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন সময় দুর্ব্যবহার করে থাকেন। এ কারণে শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় অস্বস্থি ও অসম্মানিত বোধ করেন। এ বিষয়ে আগে অনেক শিক্ষক একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাননি। পরিশেষে এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর গত পহেলা জুলাই একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাট সদর উপজেলার রণবিজয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ হুমায়ুন কবির এবং কেএম বাদোখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিফতা উদ্দিন গত ৩০ জুন জেলা শিক্ষা অফিসে আসলে জেলা শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মো: মনিরুল ইসলাম তাদের সাথেও একই আচরণ করে। এর আগেও এ ধরণের আচরণের কারণে জেলা শিক্ষা অফিসার তাকে একাধিকবার অবহিত ও সতর্ক করেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তার এ ধরণের আচরণে শিক্ষকরা অসম্মানিত ও বিব্রত বোধ করে থাকেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির বাগেরহাট জেলার শাখার নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং গত পহেলা জুলাই লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। সে একজন কর্মচারী হয়েও বাগেরহাট শহরে গড়ে তুলেছে একটি বিলাশ বহুল বাড়ি। এ ছাড়া জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তার কোটি টাকার বিভিন্ন সম্পদ। এসব সম্পদের উৎস খুঁজে বের করার জন্য অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। একই দিনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

অভিযোগ পাওয়ার পর একই দিনে জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বদলির সুপারিশ করেন। ইতোপূর্বে তাকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলে সুপারিশপত্রে উল্লেখ করা হয়। তাই অফিসের শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে তাকে দূরবর্তী কোনো সরকারি স্কুলে শাস্তি মূলক বদলি করার সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান জানান, মো: মনিরুল ইসলামকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও সে নিয়ন্ত্রিত হয়নি। তাই তাকে শাস্তিমুলক বদলির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

অমর একুশে জুলাই এর মঞ্চ পরিদর্শনে আসলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মো: মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা

প্রকাশের সময় : ১১:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

বাগেরহাট প্রতিনিধি

শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মোঃ মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, মো: মনিরুল ইসলাম জেলা শিক্ষা অফিসের বিভিন্ন কাজ উৎকোচের মাধ্যমে করিয়ে থাকেন এবং শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন সময় দুর্ব্যবহার করে থাকেন। এ কারণে শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় অস্বস্থি ও অসম্মানিত বোধ করেন। এ বিষয়ে আগে অনেক শিক্ষক একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাননি। পরিশেষে এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর গত পহেলা জুলাই একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাট সদর উপজেলার রণবিজয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ হুমায়ুন কবির এবং কেএম বাদোখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিফতা উদ্দিন গত ৩০ জুন জেলা শিক্ষা অফিসে আসলে জেলা শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মো: মনিরুল ইসলাম তাদের সাথেও একই আচরণ করে। এর আগেও এ ধরণের আচরণের কারণে জেলা শিক্ষা অফিসার তাকে একাধিকবার অবহিত ও সতর্ক করেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তার এ ধরণের আচরণে শিক্ষকরা অসম্মানিত ও বিব্রত বোধ করে থাকেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির বাগেরহাট জেলার শাখার নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং গত পহেলা জুলাই লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। সে একজন কর্মচারী হয়েও বাগেরহাট শহরে গড়ে তুলেছে একটি বিলাশ বহুল বাড়ি। এ ছাড়া জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তার কোটি টাকার বিভিন্ন সম্পদ। এসব সম্পদের উৎস খুঁজে বের করার জন্য অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। একই দিনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

অভিযোগ পাওয়ার পর একই দিনে জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বদলির সুপারিশ করেন। ইতোপূর্বে তাকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলে সুপারিশপত্রে উল্লেখ করা হয়। তাই অফিসের শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে তাকে দূরবর্তী কোনো সরকারি স্কুলে শাস্তি মূলক বদলি করার সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান জানান, মো: মনিরুল ইসলামকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও সে নিয়ন্ত্রিত হয়নি। তাই তাকে শাস্তিমুলক বদলির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।