বিশেষ প্রতিবেদনঃ চট্টগ্রাম
দেশব্যাপী নাশকতার আশঙ্কায় পরিচালিত পুলিশের বিশেষ অভিযান সহ “অপারেশন ডেভিল হান্ট”-এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কর্ণফুলী থানায় গত সাত মাসে ৭৬ মামলায় অন্তত ৩৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার হয়েছে ২৫৩ জন,অন্যান্য মামলায় ৯৭জন'কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ৪২ হাজার ৭'শ ৪৮ পিস ইয়াবা,৬৫৭ লিটার চোলাই মদ ও ৫ কেজি ২৭৩ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ শরিফ জানান, কর্ণফুলী থানায় যোগদানের পর থেকে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। ডেভিল হান্ট’ অভিযানের মাধ্যমে অপরাধী ও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় গত সাত মাসে কর্ণফুলী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা শাখা, সিএমপি সদর দপ্তরের বিভিন্ন টিম ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা চাই কর্ণফুলীকে একটি নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলতে। তার জন্য এলাকার সর্বসাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় , সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতা, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার শঙ্কা মাথায় রেখে " অপারেশন"ডেভিল হান্ট" নামের এই বিশেষ অভিযান শুরু করে সরকার। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ শরিফ যোগদানের পর থেকেই ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে এসব আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বেশি'র ভাগই আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী বলে পুলিশ দাবি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সরকারি স্থাপনায় হামলা, এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম সহ দেশ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রে আরও জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও তালিকা ভূক্ত একাধিক মামলা আসামি। এদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক সহিংসতা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ধাপে ধাপে এদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।
অন্যদিকে, এ ধরনের অভিযানের পর সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তারা মনে করেন, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধী চক্রগুলো সক্রিয় ছিল। পুলিশের কঠোর অবস্থান নেওয়ায় এখন এলাকায় সন্ধ্যার পরও মানুষ স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারছে।
বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: চেয়ারম্যান : গোলাম কিবরিয়া, ব্যবস্থাপনাপরিচালক : ফয়সাল শিকদার, বার্তা সম্পাদক : ইয়াছমিন আক্তার, ঠিকানা : চৌধুরী সুপার মার্কেট, এস এ গনি রোড, বারেশ্বর চৌমুনি, বুড়িচং, কুমিল্লা।
মোবাইল : +৮৮ ০১৮০৬৬০৮৫৩৩, +৮৮ ০১৯৪৮৭২৭৫৬১ , +৮৮ ০১৬৪১৬৯০৮১৬
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত