মোহাম্মদ সেলিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার
কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে লৌহার শিকলে বেঁধে শিশু সন্তানকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নির্যাতিত শিশু মিসবাহ উদ্দিন (১২) এর পাষন্ড পিতা মোস্তাক ওরফে গুরা মিয়া ও সৎ মা ছমুদার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর)।
ইতিপূর্বে পুলিশ হেফাজতে নেয়া শিশুর সৎ মা ছমুদাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত জেলে পাঠিয়েছে এবং উদ্ধারকৃত শিশু মিসবাহকে সেইফ কাস্টোরির অংশ হিসেবে সরকারি সমাজসেবা কেন্দ্রে অর্পণের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী ঈদগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান ও তদন্ত কর্মকর্তা
উপপরিদর্শক ( এসআই) সনক কান্তি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুটিকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ভাইরাল হলে থানা পুলিশ ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে শিশুটিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড পশ্চিম পোকখালীর আইরা বর এলাকার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করেন। সে সময় সাথে শিশুটির সৎ মা এবং সৎ বোনকেও পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বোনকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং ঘটনায় জড়িত পাষন্ড পিতা মোস্তাক ও সৎ মা ছমুদাসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায়,শিশু মিসবাহ পাষন্ড পিতা মোস্তাকের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। কিছুদিন ধরে শিশুর মায়ের সাথে বনিবনা না হওয়ায় শিশুর মা তার বাবার সংসার থেকে অন্যত্র চলে যায়।এর পর থেকে শিশুটির উপর এ অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়। পুলিশ বাদী হয়ে এ জঘন্য ঘটনার মামলা করাতে সচেতন জনগণ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য,গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আচমকা ১০/১২ বছর বয়সী এক শিশুর পুরো শরীর শিকলে বেঁধে নির্যাতন এবং মারধরের ভিডিও চিত্র মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গেলে উপজেলা জুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে এবং নেটিজেনরা জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও নির্যাতিত শিশুকে উদ্ধারের দাবি জানান। রাতেই থানা পুলিশ নির্যাতিত শিশুকে উদ্ধার ও সৎ মা এবং সৎ বোনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: চেয়ারম্যান : গোলাম কিবরিয়া, ব্যবস্থাপনাপরিচালক : ফয়সাল শিকদার, বার্তা সম্পাদক : ইয়াছমিন আক্তার, ঠিকানা : চৌধুরী সুপার মার্কেট, এস এ গনি রোড, বারেশ্বর চৌমুনি, বুড়িচং, কুমিল্লা।
মোবাইল : +৮৮ ০১৮০৬৬০৮৫৩৩, +৮৮ ০১৯৪৮৭২৭৫৬১ , +৮৮ ০১৬৪১৬৯০৮১৬
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত