
মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
তারিখ : ২৭/০৭/২০২৫ ইংআসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মুখ অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে দলীয় সংগঠন পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। সিমকী ইমামের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে উল্লাপাড়া-সলঙ্গার বাজারে বাজারে। জনগণের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া এসব ব্যানার ও প্রচারণায় ফুটে উঠেছে তার রাজনৈতিক অবস্থান, জনসম্পৃক্ততা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকা সিমকী ইমাম খান শুধু রাজনৈতিক সংগ্রামেই নয়, সামাজিক এবং মানবিক নানা কর্মকাণ্ডে নিজের অবস্থান দৃঢ় করেছেন। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সহমর্মিতা ও সাহস যুগিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন নির্ভরতার প্রতীক। দমন-পীড়নের সময় মামলাবলিতে জর্জরিত দলের কর্মীদের আইনি সহায়তা দিয়ে সহযোদ্ধাদের পাশে থেকেছেন একজন অভিভাবকের মতো। ২০১৪ সালের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে রাজপথে সাহসী ভূমিকা রাখেন তিনি। সেই সময় তার সাহসিকতা ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা দলীয় নেতাকর্মীদের মনে নতুন প্রেরণা জোগায়। দলের আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে তার সরব উপস্থিতি তাকে একজন আপসহীন ও কর্মীবান্ধব নেত্রীতে রূপান্তর করেছে। শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনে নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও পিছিয়ে নেই অ্যাড. সিমকী ইমাম খান। তিনি উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে একজন মানবিক নেত্রী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। গরীব শিক্ষার্থীদের সহায়তা, চিকিৎসা খাতে অনুদান এবং ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নে অব্যাহত ভূমিকা রেখে চলেছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। তখন থেকেই তিনি নির্বাচনমুখী সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর বিশ্বাস, ‘দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে জনগণের ভালোবাসায় বিজয় সম্ভব। স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মত, বিএনপি যদি একজন শিক্ষিত, সাহসী, এবং ক্লিন ইমেজধারী নারী নেতৃত্বকে মনোনয়ন দেয়, তবে অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খানই হতে পারেন সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির বিজয়ের সম্ভাব্য মুখ। এ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান বলেন, আমি রাজনীতি করি দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। দলের সুসময় হোক বা দুঃসময়ে আমি সবসময় নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। জনগণের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।