১২:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামে নেশায় আসক্ত স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে

  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • 59

মোঃ মোসলেম উদ্দিন সিরাজী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামে নেশায় আসক্ত স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী ঈমান আলীর মেয়ে মেঘলা খাতুনের সাথে অভিযুক্ত কালাম ফকিরের ছেলে আলামিনের সাথে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং গত তিন বছর পুর্বে সালিসী বৌঠকের মাধ্যমে ইসলামীক আইন মোতাবেক ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কাবিন স্বীকার করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

উভয়ের বাড়ি সিরাজগন্জ জেলার শাহ্জাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামের,বাচড়া পশ্চিম পাড়া এলাকায়। মেঘলা খাতুন স্বামীর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পরে  স্বামীসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার শুরু করে,এবং বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়, পরবর্তীতে স্বামী আলামিন মেঘলা খাতুনের ভরণপোষণ ও খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়, মেয়ের বাবা বাদী হয়ে পুনরায় একটি সালিসী বৈঠক ডাকে, সালিসী বৈঠকের মাধ্যমে আবার দুই পরিবারকে মিলিত করে দেন।

এমতাবস্থায় মেঘলা খাতুনের গর্ভে আসে আলামিনের সন্তান। দিন যায় দিন আসে আলামিনের আবারো আচরনের পরিবর্তন চলে আসে, এবং বিভিন্ন প্রকার নেশায় আশক্ত হয়ে পরে, প্রায়ই শেষরাতে নেশা করে বাড়ি ফিরে স্ত্রী মেঘলা খাতুনের উপর নির্যাতন করতে থাকে। এর মধ্যেই মেঘলা খাতুনের বাবার বাড়ি থেকে বাক্স ভেঙ্গে ২০ হাজার টাকা চুরি করে ইয়াবা বিক্রির উদ্বেশ্যে প্রাণঘাতী  নেশাদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়ের জন্যে ১৫ হাজার টাকা এক ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে দেয় আল আমিন।

এক সালিসী বৌঠকে অভিযুক্ত আলামিন এ কথা স্বীকার করে নেয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী, গত দের মাস পুর্বে মেঘলা খাতুনের ঘরে আসে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান, সন্তানের ২০ দিন বয়সে আল আমিনের পরিবার আদর করার কথা বলে বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে যায়, ৫ দিন রাখার পরে মেঘলা খাতুনের পরিবার আইনের মাধ্যমে বাচ্চাকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। পর্যায়ক্রমে বীলের জালের মাছ সহ হাতের কাছে যা পায় তাই চুরি করে নেশার টাকা জোগার করে আল আমিন।

এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ জানালে আল আমিনের এক আত্মীয় পুলিশের বড় কর্মকর্তার ভয় ভীতি দেখায় আল আলামিন সহ আল আমিনের পরিবার। গত ৮ অক্টোবর জালের মাছ চুরি করে ধরা পরে আল আমিন, একই সময় আল আমিনের কাছে থেকে এক পিছ ইয়াবা যব্দ করে এলাকাবাসী আমিনের বাবা কালামকে বিষয়টা অবগত করলে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নিয়ে বলে এলাকা বাসী তার কিছুই করতে পারবে না, তারা বলে তাদের সাথে রয়েছে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা গত ১৮ তারিখ  মাছের মালিক আল আমিন কে বিচারের কথা বললে আল আমিন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়, এবং বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়।

সেই রাতেই উল্টো মাদকসেবী আল আমিনের বাবা কালাম ফকির বাদী হয়ে আল আমিনের শশুর বাড়ির লোকজন এবং সেই মাছের  মালিক ও মালিকের আত্মীয় স্বজন সহ ৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে আল আমিনের সাথে কথা বলার জন্য আল আমিনের বাড়িতে গেলে তার রুমে তালা ঝুলানো দেখা যায়, আল আমিনের বাবা কালাম ফকিরের সাথে মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি ক্যামারার সামনে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগী মেঘলা খাতুন সহ এলাকাবাসীর একটাই দাবী খুব দ্রুত যেন এই নেশায় আশক্ত  আলামিনকে আইনের আওতায় আনা হয় এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম লালদীঘি মাঠে বিশাল জনসভায় বৃহত্তর সুন্নী জোট নেতৃবৃন্দ কোনো মহলের ষড়যন্ত্রে জাতীয় নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামে নেশায় আসক্ত স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

মোঃ মোসলেম উদ্দিন সিরাজী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামে নেশায় আসক্ত স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী ঈমান আলীর মেয়ে মেঘলা খাতুনের সাথে অভিযুক্ত কালাম ফকিরের ছেলে আলামিনের সাথে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং গত তিন বছর পুর্বে সালিসী বৌঠকের মাধ্যমে ইসলামীক আইন মোতাবেক ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কাবিন স্বীকার করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

উভয়ের বাড়ি সিরাজগন্জ জেলার শাহ্জাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামের,বাচড়া পশ্চিম পাড়া এলাকায়। মেঘলা খাতুন স্বামীর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পরে  স্বামীসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার শুরু করে,এবং বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়, পরবর্তীতে স্বামী আলামিন মেঘলা খাতুনের ভরণপোষণ ও খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়, মেয়ের বাবা বাদী হয়ে পুনরায় একটি সালিসী বৈঠক ডাকে, সালিসী বৈঠকের মাধ্যমে আবার দুই পরিবারকে মিলিত করে দেন।

এমতাবস্থায় মেঘলা খাতুনের গর্ভে আসে আলামিনের সন্তান। দিন যায় দিন আসে আলামিনের আবারো আচরনের পরিবর্তন চলে আসে, এবং বিভিন্ন প্রকার নেশায় আশক্ত হয়ে পরে, প্রায়ই শেষরাতে নেশা করে বাড়ি ফিরে স্ত্রী মেঘলা খাতুনের উপর নির্যাতন করতে থাকে। এর মধ্যেই মেঘলা খাতুনের বাবার বাড়ি থেকে বাক্স ভেঙ্গে ২০ হাজার টাকা চুরি করে ইয়াবা বিক্রির উদ্বেশ্যে প্রাণঘাতী  নেশাদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়ের জন্যে ১৫ হাজার টাকা এক ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে দেয় আল আমিন।

এক সালিসী বৌঠকে অভিযুক্ত আলামিন এ কথা স্বীকার করে নেয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী, গত দের মাস পুর্বে মেঘলা খাতুনের ঘরে আসে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান, সন্তানের ২০ দিন বয়সে আল আমিনের পরিবার আদর করার কথা বলে বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে যায়, ৫ দিন রাখার পরে মেঘলা খাতুনের পরিবার আইনের মাধ্যমে বাচ্চাকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। পর্যায়ক্রমে বীলের জালের মাছ সহ হাতের কাছে যা পায় তাই চুরি করে নেশার টাকা জোগার করে আল আমিন।

এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ জানালে আল আমিনের এক আত্মীয় পুলিশের বড় কর্মকর্তার ভয় ভীতি দেখায় আল আলামিন সহ আল আমিনের পরিবার। গত ৮ অক্টোবর জালের মাছ চুরি করে ধরা পরে আল আমিন, একই সময় আল আমিনের কাছে থেকে এক পিছ ইয়াবা যব্দ করে এলাকাবাসী আমিনের বাবা কালামকে বিষয়টা অবগত করলে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নিয়ে বলে এলাকা বাসী তার কিছুই করতে পারবে না, তারা বলে তাদের সাথে রয়েছে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা গত ১৮ তারিখ  মাছের মালিক আল আমিন কে বিচারের কথা বললে আল আমিন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়, এবং বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়।

সেই রাতেই উল্টো মাদকসেবী আল আমিনের বাবা কালাম ফকির বাদী হয়ে আল আমিনের শশুর বাড়ির লোকজন এবং সেই মাছের  মালিক ও মালিকের আত্মীয় স্বজন সহ ৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে আল আমিনের সাথে কথা বলার জন্য আল আমিনের বাড়িতে গেলে তার রুমে তালা ঝুলানো দেখা যায়, আল আমিনের বাবা কালাম ফকিরের সাথে মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি ক্যামারার সামনে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগী মেঘলা খাতুন সহ এলাকাবাসীর একটাই দাবী খুব দ্রুত যেন এই নেশায় আশক্ত  আলামিনকে আইনের আওতায় আনা হয় এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।