০৮:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 71

মোঃ শাহজাহান বাশার,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সমসাময়িক অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় একের পর এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সোমবার তিনি পৃথকভাবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জানা গেছে, তিনি প্রথমে জামায়াতের, পরে এনসিপির এবং সর্বশেষ বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার জুলাই আন্দোলনের পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেয়। প্রধান উপদেষ্টার এই সংলাপকে তাই চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। দল দুটির নেতারা জানিয়েছেন, যেভাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, একইভাবে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাদের মতে, জাতীয় পার্টি অতীতে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তাই উভয় দলের ক্ষেত্রেই একই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরি।

রাজনৈতিক মহলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সংলাপকে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সংকট নিরসনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি ও নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে জাতীয় পার্টিকে ঘিরে বাড়তে থাকা বিতর্ক এই দুই প্রেক্ষাপটে সরকারের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবে।

সাত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে কী সিদ্ধান্ত আসবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল ও আগ্রহ শীর্ষে পৌঁছেছে। এ বৈঠক আগামী জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ এবং রাজনৈতিক সমঝোতার পথ তৈরি করতে কতটা কার্যকর হবে, সেটিই এখন দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

জনপ্রিয়

রাষ্ট্র কাঠামো পূর্ণগঠনে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা

সাত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রকাশের সময় : ০৪:৩২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোঃ শাহজাহান বাশার,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সমসাময়িক অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় একের পর এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সোমবার তিনি পৃথকভাবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জানা গেছে, তিনি প্রথমে জামায়াতের, পরে এনসিপির এবং সর্বশেষ বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার জুলাই আন্দোলনের পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেয়। প্রধান উপদেষ্টার এই সংলাপকে তাই চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। দল দুটির নেতারা জানিয়েছেন, যেভাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, একইভাবে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাদের মতে, জাতীয় পার্টি অতীতে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তাই উভয় দলের ক্ষেত্রেই একই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরি।

রাজনৈতিক মহলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সংলাপকে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সংকট নিরসনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি ও নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে জাতীয় পার্টিকে ঘিরে বাড়তে থাকা বিতর্ক এই দুই প্রেক্ষাপটে সরকারের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবে।

সাত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে কী সিদ্ধান্ত আসবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল ও আগ্রহ শীর্ষে পৌঁছেছে। এ বৈঠক আগামী জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ এবং রাজনৈতিক সমঝোতার পথ তৈরি করতে কতটা কার্যকর হবে, সেটিই এখন দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।