০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক ( ডিসি) কারাগারে

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 87

মোঃ শাহজাহান বাশার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে আলোচিত কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানাকে অবশেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক সমাজ যে বিচার ও জবাবদিহিতার প্রত্যাশা করছিল, সেই প্রত্যাশার আংশিক প্রতিফলন ঘটল এই রায়ে।

কুড়িগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় তিনি দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন। সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন তখন থেকেই ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। অবশেষে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সাধারণ জনগণ ও সাংবাদিক মহল স্বস্তি ও আশার আলো খুঁজে পেয়েছে।

বিচার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনা শুধু একজন প্রভাবশালী আমলার বিরুদ্ধে নয়, বরং সামগ্রিকভাবে সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের জন্য একটি কড়া বার্তা। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়—এ বাস্তবতা আবারও সামনে এসেছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা নানা ভীতি ও চাপের মধ্যে কাজ করলেও এ রায়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও নিরাপত্তা ও মর্যাদা ফিরে পাবেন। একইসঙ্গে, সরকারের প্রতি তাদের প্রত্যাশা—সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ মনে করছে—জনগণের জানার অধিকার রক্ষাকারী সাংবাদিকদের প্রতি নির্যাতন মানেই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চর্চায় আঘাত। তাই এ ধরনের শাস্তি ন্যায়বিচারের জোরদার প্রকাশ।

সাংবাদিক সমাজ আশা করছে, এ রায় শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি নজির হয়ে থাকবে। সাংবাদিক নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবার বিরুদ্ধেই যেন আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত হয়।

জনপ্রিয়

উখিয়ায় আমির হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে

সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক ( ডিসি) কারাগারে

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোঃ শাহজাহান বাশার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে আলোচিত কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানাকে অবশেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক সমাজ যে বিচার ও জবাবদিহিতার প্রত্যাশা করছিল, সেই প্রত্যাশার আংশিক প্রতিফলন ঘটল এই রায়ে।

কুড়িগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় তিনি দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন। সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন তখন থেকেই ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। অবশেষে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সাধারণ জনগণ ও সাংবাদিক মহল স্বস্তি ও আশার আলো খুঁজে পেয়েছে।

বিচার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনা শুধু একজন প্রভাবশালী আমলার বিরুদ্ধে নয়, বরং সামগ্রিকভাবে সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের জন্য একটি কড়া বার্তা। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়—এ বাস্তবতা আবারও সামনে এসেছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা নানা ভীতি ও চাপের মধ্যে কাজ করলেও এ রায়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও নিরাপত্তা ও মর্যাদা ফিরে পাবেন। একইসঙ্গে, সরকারের প্রতি তাদের প্রত্যাশা—সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ মনে করছে—জনগণের জানার অধিকার রক্ষাকারী সাংবাদিকদের প্রতি নির্যাতন মানেই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চর্চায় আঘাত। তাই এ ধরনের শাস্তি ন্যায়বিচারের জোরদার প্রকাশ।

সাংবাদিক সমাজ আশা করছে, এ রায় শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি নজির হয়ে থাকবে। সাংবাদিক নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবার বিরুদ্ধেই যেন আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত হয়।