
রিপোর্টর: এমরান হোসেন সোহাগ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় মিথ্যা মামলায় জড়ানো, অনৈতিক অর্থ আদায়, নারীদের সাথে অশ্লীলতাসহ নানা অভিযোগে সমালোচিত সাব-ইন্সপেক্টার (এসআই) অলিউল্যাহ বিরুদ্ধে বর্তমানে নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এক নারীকে কু-প্রস্তাব, নারীর মুখের নিকাব টেনে ধরা এবং হাত ধরে জোরপূর্বক ভেতরের রুমে নেওয়া চেষ্টায় ভোক্তভোগী এক বিধবা নারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
চাটখিল থানায় কর্মরত পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর অলি উল্লার লালসার কথা বর্ণনা করছিলেন ভুক্তভোগী এই বিধবা নারী। যিনি অলিউল্লাহ সহ আরো একজন সাব-ইন্সপেক্টর এবং তাদের সোর্স
সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সম্প্রতি। তার মধ্যে সাব ইন্সপেক্টর অলিউল্লার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ গুরুতর।
ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালযয়ের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্তে নেমেছে পুলিশের আরেকটি দল।
৪৮ বছর বয়সী ওই নারীর ভাষায় তার ছেলেকে ইয়াবা মামলায় স্থানীয় পুলিশ সোর্স এর মাধ্যমে ফাঁসিয়ে দিতে চেষ্টা করে এই দুই সাব-ইন্সপেক্টর। আর এর মাধ্যমে ফাদ পেতে বিধবা এই নারীকে দেওয়া হয় কু প্রস্তাব।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর অলি উল্লাহকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন তিনি নাকি এই নারীকে চেনেনই না?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ করছে অভিযোগকৃত সহকর্মীদের তদন্ত। এই তদন্ত নিয়ে নানারকম সংশয় থাকলেও সবার প্রত্যাশা পুলিশে লুকিয়ে থাকা গুটি কয়েক অলিউল্লাদের নষ্টামির দায়ভার যেন অন্য পুলিশরা যেন না নেন।





















