১২:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে নির্যাতন, উদ্ধারের পর ৫ দিন লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে

  • প্রকাশের সময় : ১০:৪১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • 107

আল মামুন টুটু, বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে নির্মমভাবে মারধর ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত ছাত্র বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আজ ২৫ অক্টোবর ৫ দিন ধরে লাইফ সার্পোটে মৃত্যুও সাথে লড়ছে তুহিন।

এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর মা মোসাঃ ফেরদৌসী আক্তার (৩৬) বুড়িচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বাহেরচর গ্রামের মোঃ মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা হলো ১) মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) (৪৫), পিতা মৃত আবুল খায়ের ২) মোঃ নাফিজ উদ্দিন (১৯), পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) উভয় গ্রাম গোবিন্দপুর ৩) মোঃ জহির (৪২), পিতা মৃতঃ সিদ্দিকুর রহমান, ৪) আবদুল আলিম (৪৫), পিতা মৃত আবদুর রহমান গ্রামঃ শ্রীপুরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ফেরদৌসী আক্তার অভিযোগে জানান, তার ছেলে তোহিন (১৯) বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পূর্ববিরোধের জেরে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।

গত ২০ অক্টোবর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে প্রথমে তোহিনকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর ১নং অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাড়ির পূর্ব পাশের বিল্ডিং ঘরে নিয়ে গিয়ে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে।

এতে তোহিনের হাত-পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। পরে সে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। এ সময় অভিযুক্তরা তার মোবাইল ফোন (মূল্য আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয় এবং তার বাবা-মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় তোহিনকে প্রথমে বুড়িচং সরকারি হাসপাতালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) একজন আওয়ামী সন্ত্রাসী। সে বিগত ফ্যাসিজম সরকারের আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে এবং এতে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।

বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানান, অভিযোগ দায়েরের সাথে সাথে মামলাটি রুজু করা হয়। আসামীদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। মামলার আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) ইউরোপ প্রবাসী, সে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। বুড়িচং থানায় ১৪৩,৩৪১,৩৪২,৩০৭,৩২৩,৩২৬,৩৭৯,৫০৬ ও ১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলা নং ১৪ তাং ২৩/১০/২০২৫ইং রুজু করা হয়।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম লালদীঘি মাঠে বিশাল জনসভায় বৃহত্তর সুন্নী জোট নেতৃবৃন্দ কোনো মহলের ষড়যন্ত্রে জাতীয় নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে নির্যাতন, উদ্ধারের পর ৫ দিন লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে

প্রকাশের সময় : ১০:৪১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

আল মামুন টুটু, বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে নির্মমভাবে মারধর ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত ছাত্র বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আজ ২৫ অক্টোবর ৫ দিন ধরে লাইফ সার্পোটে মৃত্যুও সাথে লড়ছে তুহিন।

এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর মা মোসাঃ ফেরদৌসী আক্তার (৩৬) বুড়িচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বাহেরচর গ্রামের মোঃ মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা হলো ১) মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) (৪৫), পিতা মৃত আবুল খায়ের ২) মোঃ নাফিজ উদ্দিন (১৯), পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) উভয় গ্রাম গোবিন্দপুর ৩) মোঃ জহির (৪২), পিতা মৃতঃ সিদ্দিকুর রহমান, ৪) আবদুল আলিম (৪৫), পিতা মৃত আবদুর রহমান গ্রামঃ শ্রীপুরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ফেরদৌসী আক্তার অভিযোগে জানান, তার ছেলে তোহিন (১৯) বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পূর্ববিরোধের জেরে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।

গত ২০ অক্টোবর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে প্রথমে তোহিনকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর ১নং অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাড়ির পূর্ব পাশের বিল্ডিং ঘরে নিয়ে গিয়ে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে।

এতে তোহিনের হাত-পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। পরে সে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। এ সময় অভিযুক্তরা তার মোবাইল ফোন (মূল্য আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয় এবং তার বাবা-মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় তোহিনকে প্রথমে বুড়িচং সরকারি হাসপাতালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) একজন আওয়ামী সন্ত্রাসী। সে বিগত ফ্যাসিজম সরকারের আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে এবং এতে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।

বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানান, অভিযোগ দায়েরের সাথে সাথে মামলাটি রুজু করা হয়। আসামীদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। মামলার আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) ইউরোপ প্রবাসী, সে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। বুড়িচং থানায় ১৪৩,৩৪১,৩৪২,৩০৭,৩২৩,৩২৬,৩৭৯,৫০৬ ও ১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলা নং ১৪ তাং ২৩/১০/২০২৫ইং রুজু করা হয়।