নান্দাইল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের কাদিরাবাদ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দূর্নীতি, অর্থ আত্মসাত, স্বেচ্ছাচারিতা সহ সুনিদিষ্ট ১৪টি অভিযোগ সহ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অত্র মাদ্রাসার সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ প্রশাসনের একাধিক স্থানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ উক্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল আজিজ ১৯৯৬ইং সনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাজনৈতিক প্রভাবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন করেন। তৎকালীন সময়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহ সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম (সাবেক খারুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি) এর যোগসাজসে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আবদুল আজিজ অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছে। তিনি অধ্যক্ষ হবার পর থেকে তার পক্ষের প্রভাবশালী লোক দ্বারা কমিটি গঠন করে নিজ ইচ্ছামত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। বিগত ২০১০ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত কোন গর্ভনিং বডি দায়িত্ব পালন করে নাই। মাঝে ২/১ বার এডহক কমিটি হলেও বর্তমানে কোন কমিটি নেই। বিগত করোনা সময়কালে নিয়ম বহির্ভূতবাবে প্রতিষ্ঠানের শ্রেনীকক্ষ টিনের ঘর বিক্রি করে দিয়ে টাকা আত্মসাত করেছে। দীর্ঘ বছর ধরে শিক্ষকদের টিউশনের ফি’র টাকা ধারাবাহিক ভাবে উত্তোলন করে শিক্ষকদের মাঝে কোন টাকা পয়সা না দিয়ে নিজে আত্মসাত করেছে। প্রতিষ্ঠানের নামে সম্পদ দাতা মৃত আবদুর মান্নান এর জমি জনৈক সাবেক সহ সভাপতি উপরোক্ত আমিনুল ইসলাম মালিক সেজে মাদ্রাসার নামে জমি রেজি: করে দেয়।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি রেজিষ্টার সম্পর্কে কোন শিক্ষক অথবা অভিভাবক সদস্যকে জানতে দেন নাই। তিনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফান্ড তৈরি করে প্রতারনামূলক ভাবে আত্মসাত করেছে। প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দকৃত সরকারী ৫৬,৫০০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে। ২০২১ সালে টিউশন ফি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে। ২০২৫ সনে কোরবানি ঈদের পূর্বে টিউশন ফি ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে যত সামান্য টাকা বন্টন করে বাকী টাকা আত্মসাত করেছে। ১৯৯৫ সনে আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে তার যথাযথ অভিজ্ঞতা না থাকলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অধ্যক্ষ পদ ধখল করে নেয়। আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে তার যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। তিনি মাদ্রাসায় উপস্থিত না থেকেও মাসের পর মাস স্বাক্ষর একদিনে করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বর্তমান অধ্যক্ষের চাকুরীর মেয়াদ ডিসেম্বর/২০২৫ শেষ হবে। এই অবস্থায় তাহার পছন্দের ও আত্মীয়দের দ্বারা কোন মতে একটি এডহক কমিটি গঠন করে তাহার সকল অবৈধ কার্য্যক্রম বৈধ করার পায়তারা করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের নানাভাবে মানসিক চাপ ও খারাপ ব্যবহার তার নিত্যনৈতিক কাজ।
অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে গত ২৫ আগস্ট ১৪দফা অভিযোগ উল্লেখ করে মহা পরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, জেলা শিক্ষা অফিসার, নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সাংবাদিকদের নিকট কপি পাঠিয়েছেন। আরো উল্লেখ্য যে, বর্তমানে অত্র মাদ্রাসায় ১৯জন শিক্ষক/কর্মচারী প্রতি মাসে প্রায় ৬লক্ষ টাকা সরকারী বেতন ভাতা পান। এবতেদায়ী শাখায় কোন ছাত্র/ছাত্রী নাই। ৩১ আগস্ট সরজমিনে নান্দাইলের ৪/৫জন মিডিয়া কর্মী মাদ্রাসা পরিদর্শনের সময় সব মিলিয়ে ৩০জনের মত ছাত্র/ছাত্রী উপস্থিতি দেখতে পান।
এমতাবস্থায়, বিষয়টি জরুরী তদন্ত করে উক্ত দূর্নীতি পরায়ন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন।
বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: চেয়ারম্যান : গোলাম কিবরিয়া, ব্যবস্থাপনাপরিচালক : ফয়সাল শিকদার, বার্তা সম্পাদক : ইয়াছমিন আক্তার, ঠিকানা : চৌধুরী সুপার মার্কেট, এস এ গনি রোড, বারেশ্বর চৌমুনি, বুড়িচং, কুমিল্লা।
মোবাইল : +৮৮ ০১৮০৬৬০৮৫৩৩, +৮৮ ০১৯৪৮৭২৭৫৬১ , +৮৮ ০১৬৪১৬৯০৮১৬
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত