
সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা
১০ই সেপ্টেম্বর বুধবার, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল তৃণমূলের আহবানে, ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ দুপুর ১২ টার দিকে শুরু হয় বাংলা ভাষা বিরুদ্ধে এবং বিজেপি সরকারের ভ্রান্ত নীতির প্রতিবাদে বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতিতে এই ধর্ণা মঞ্চ।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহবানে, বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে এই প্রতিবাদ ধর্ণা মঞ্চ। কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে এবং বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা মিছিল করে প্রতিবাদ সবাই উপস্থিত হন, এই প্রতিবাদ সভা চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত, বাংলার সম্মান রক্ষার্থে এবং বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষা করতে, আজ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন সংগঠন রাস্তায় নেমেছেন। বিজেপি সরকারের এই ভ্রান্ত নীতিকে নস্যাৎ করতে, এবং এস আই আর লাগু করতে, আলী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর যে অত্যাচার চলছে, সেই অত্যাচার বন্ধ করতেই এই ধরণামঞ্চ।। যতদিন না কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের এই দাবিগুলি না মানছেন ততদিন চলবে এই প্রতিবাদ।
আজকের এই প্রতিবাদ মঞ্চে উপস্থিত হন। মাননীয় মহানগরী ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, এছাড়াও কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তারক সিং, কৃষ্ণা সিং থেকে শুরু করে অন্যান্য কাউন্সিলরা।
প্রত্যেকের মঞ্চ থেকে একটাই দাবী, আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের, বাংলায় অন্য কোন ভাষার ঠাঁই নাই, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ জৈন সবাই আমাদের ভাই, আমরা বাংলায় বাস করি, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, এই বাংলায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কবি নজরুল বিদ্যাসাগর জন্মেছেন।
তাদের কণ্ঠে বিভিন্ন জাতীয় সংগীত এই বাংলায় ধ্বনিত হয়, যাদের লেখা অ-আ-ক-খ পড়ে আমরা আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছি।, যাহারা আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন, সেই ভাষাকে কোনদিন আমরা পরিবর্তন করতে দেব না।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিজেপি সরকার একের পর এক বাঙ্গালীদের মনে ভ্রান্ত নীতি এনে বিচ্ছেদের সৃষ্টি করছে, এস আই আর এর নামে বিদেশে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে, সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে বন্দী করে আটকে রাখা হচ্ছে জেলে।
এস আই আর নাম করে লক্ষ লক্ষ মানুষের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, ভোটের লিস্ট থেকে নাম বাদ দিচ্ছে, কিন্তু এটা আমরা আর হতে দেব না, বাংলায় কোন ভোটারের নাম লিস্ট থেকে বাদ যাবে না, যদি বাংলায় একটা ভোটারের নাম লিস্ট থেকে বাদ যায় ,আমরা দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দেব।, বাংলা থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানাতে দিল্লি পৌঁছাবে, তবুও আমরা চুপ করে থাকব না, লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের অধিকার কেড়ে নেবো।
এর সাথে সাথে একটা কথা বলতে চাই, বিজেপি সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন ২০২৬ এ জনগণ বুঝিয়ে দেবে।, কে কতগুলি আসন পাবে, ২০২৬-এ বিজেপি কে বাংলা থেকে বিদায় দেবো, বাংলায় বিজেপির কোন অস্তিত্ব থাকবে না, এ লড়াই জনগণের লড়াই, এ লড়াই বাংলার লড়াই, এ লড়াই জয় বাংলার লড়াই। তাই আমরা এখন থেকেই ২০২৬ এর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।