০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

কোটালীপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • 40

ইসরাফিল খান , গোপালগঞ্জ (জেলা)প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে যাননি। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চেয়ার নিয়ে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কোটালীপাড়ার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কর্মবিরতি শুরু হয়।

বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বহু শিক্ষক আহত হন। এর প্রতিবাদে এবং দীর্ঘদিনের তিন দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এই কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।

৪৯ নম্বর উত্তরপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৌসুমী আক্তার স্বর্ণা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। চাকরিতে যোগদানের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং বিভাগীয় পদোন্নতিতে শতভাগ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন, “সারাদেশের মতো আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও শিক্ষকরা পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন। আমরা তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি মৌন সমর্থন জানিয়েছি।”

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, “বিশ্বের কোনো দেশেই শিক্ষকদের এত কম বেতন দেওয়া হয় না। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা দশম গ্রেড পাচ্ছেন, কিন্তু আমরা বঞ্চিত। এই বৈষম্য দূর করাই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। আমরা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান থেকে বিরত রয়েছি।”

কোটালীপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত শিক্ষকদের পাঠবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কোটালীপাড়ার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত আছেন।

জনপ্রিয়

২০১৮ সালে সংসদে যাওয়া দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল

কোটালীপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

প্রকাশের সময় : ০৬:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

ইসরাফিল খান , গোপালগঞ্জ (জেলা)প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে যাননি। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চেয়ার নিয়ে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কোটালীপাড়ার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কর্মবিরতি শুরু হয়।

বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বহু শিক্ষক আহত হন। এর প্রতিবাদে এবং দীর্ঘদিনের তিন দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এই কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।

৪৯ নম্বর উত্তরপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৌসুমী আক্তার স্বর্ণা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। চাকরিতে যোগদানের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং বিভাগীয় পদোন্নতিতে শতভাগ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন, “সারাদেশের মতো আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও শিক্ষকরা পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন। আমরা তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি মৌন সমর্থন জানিয়েছি।”

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, “বিশ্বের কোনো দেশেই শিক্ষকদের এত কম বেতন দেওয়া হয় না। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা দশম গ্রেড পাচ্ছেন, কিন্তু আমরা বঞ্চিত। এই বৈষম্য দূর করাই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। আমরা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান থেকে বিরত রয়েছি।”

কোটালীপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত শিক্ষকদের পাঠবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কোটালীপাড়ার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত আছেন।