মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা-০৫ (ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন চৌধুরীকে ঘিরে আবারও নতুন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের হাওয়া বইছে। তার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও জনসম্পৃক্ততায় অস্বস্তিতে পড়ে একটি প্রভাবশালী মহল তাকে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন চৌধুরী মাঠপর্যায়ে যে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, তাতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মহল স্পষ্টতই অস্থির। বিশেষ করে তরুণ ভোটার ও শিক্ষিত পেশাজীবীদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে।
এই উত্থান ঠেকাতে কিছু মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে—যেখানে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের ছবি ট্যাগ করে তাকে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে।
ব্যারিস্টার সোহরাব কখনোই আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সংগঠনের কোনো পদে ছিলেন না—না জেলা পর্যায়ে, না উপজেলা পর্যায়ে। বরং রাজনীতি ও জনসেবার প্রতি তার আগ্রহ দীর্ঘ দিনের হলেও, আওয়ামী শাসনামলেই তিনি একাধিকবার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
প্রয়াত আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুর সময়েও তার প্রতি অবিশ্বাস ও দূরত্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে ছিল বলে জানা যায়।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়, তখন তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি সেই ছাত্রদের নিজ বাসায় আশ্রয় দেন। তার এই মানবিক পদক্ষেপটি পরে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়।
এছাড়া একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টাইমস স্কয়ারে আয়োজিত “Step Down Fascist Hasina” শীর্ষক আন্তর্জাতিক আন্দোলনেও তিনি সরাসরি অংশ নেন, যা তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পরিচিত করে তোলে।
সম্প্রতি তার শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন বোঝানো যায় তিনি আওয়ামী লীগপন্থী। অথচ ছবিটি ছিল সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় পরিসরের—রাজনৈতিক নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কৌশল নতুন নয়। এর আগেও সারজিস আলম ও ভিপি নুরুল হক নুরের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতিতে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছিল।
সারজিস আলম তখন বলেছিলেন—
“ওটা ছিল রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ, রাজনৈতিক নয়।”
রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে ভিন্নমতের নেতাদের উপস্থিতি কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সৌজন্যেরই অংশ।
বিষয়টি নিয়ে ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন চৌধুরী বলেন,
“স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার—এই বিশ্বাস থেকেই আমি প্রচার শুরু করেছি। আমি চাই, মানুষ দল নয়, প্রার্থীকে বিচার করুক। প্রচারপত্রেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি—আমি চাইলে নিবন্ধিত কোনো দলের মনোনয়ন নিয়েও নির্বাচন করতে পারি, তবে জনগণের রায়ই আমার আসল শক্তি।”
তিনি আরও বলেন,“ফেসবুকে ছবি বিকৃতি, ট্যাগ লাগানো বা গালাগালি দিয়ে কাউকে থামানো যায় না। আল্লাহ যার ইজ্জত রাখেন, তাকে কেউ হেয় করতে পারে না। সম্মান ও মর্যাদা একমাত্র আল্লাহর দান।”
সূত্রে জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত বিএনপির সমমনা কোনো দল কিংবা যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কোনো রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকেও তার প্রার্থিতা দেখা যেতে পারে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন, যা তাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মূল টার্গেটে পরিণত করেছে।
কুমিল্লা-০৫ আসনের রাজনীতি বর্তমানে উত্তপ্ত। স্বাধীনভাবে জনগণের আস্থা নিয়ে এগিয়ে আসা এক তরুণ আইনজীবীর জনপ্রিয়তা যে কিছু প্রভাবশালী মহলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ এই প্রচারণা ও ষড়যন্ত্র।
তবে ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন চৌধুরী এখনও দৃঢ় কণ্ঠে বলছেন—
ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন চৌধুরী বলেন,তিনি আরো বলেন “জনগণের ভালোবাসা ও বিশ্বাসই আমার শক্তি। সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকলে জয় নিশ্চিত।”
বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: চেয়ারম্যান : গোলাম কিবরিয়া, ব্যবস্থাপনাপরিচালক : ফয়সাল শিকদার, বার্তা সম্পাদক : ইয়াছমিন আক্তার, ঠিকানা : চৌধুরী সুপার মার্কেট, এস এ গনি রোড, বারেশ্বর চৌমুনি, বুড়িচং, কুমিল্লা।
মোবাইল : +৮৮ ০১৮০৬৬০৮৫৩৩, +৮৮ ০১৯৪৮৭২৭৫৬১ , +৮৮ ০১৬৪১৬৯০৮১৬
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত