
মোহাম্মদ সেলিম ,ঈদগাঁও কক্সবাজার
কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক থেকে অপহৃত দু’জন মুক্তিপণের বিনিময়ে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর)রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ফিরে এসেছে ঘরে।
স্থানীয় জামায়াত নেতা বনি আমিন ও গণমাধ্যমকর্মী আবুল কাশেম জানান, অপহরণ পরবর্তী দিনভর দাবিকৃত মুক্তিপণের পরিমাণ নিয়ে দেনদরবারের পর রাতে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে রাজি হয় অপরণচক্র। তাদের দেয়া লোকেশন মত অপহরণ স্থলের অল্প দূরে সড়কের ডিউটি পুলিশের রেষ্ট স্থান সংলগ্ন বন এলাকায় মোখতারের চাচা আবুল হোসেন ও হেলালের এক ভাই বনের ভেতর গিয়ে হাতে হাতে মুক্তিপণের টাকা বুঝিয়ে দিলে অপহৃতদের তাদের হাতে তুলে দেয় মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাতদল।
উল্লেখ্য,একই দিন সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দূর্গম পাহাড়ি জনপদ ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের হিমছড়ি ঢালা দিয়ে ঈদগাঁও যাওয়ার পথে মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাতদল গণডকাকাতির এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহী কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড পূর্ব রাজঘাট এলাকার আব্দু শুক্কুরের ছেলে মোক্তার আহমদ (৩০) ও ৩ নং ওয়ার্ড ফাতেমার ঘোনা চরপাড়ার মৃত হোসেন আহমদের ছেলে হেলাল (২৬) অপহরণ করে বনের দিকে নিয়ে যায় এবং পরে অপহৃতদের মোবাইল থেকে মুক্তিপণ দাবি শুরু করে।
ঘটনা পরবর্তী ঈদগাঁও থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে অপহৃতদের উদ্ধারে দূর্গম পাহাড়ে ঘন্টাব্যাপী নিষ্ফল অভিযান চালিয়ে ফিরে আসে।
থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সনক কান্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে এরকম তিনিও শুনেছেন জানান।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও এবারের মত একের পর এক ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটলেও পরবর্তীতে যখন ভিকটিম পরিবার ঈদগাঁও থানায় কোন ডায়েরী করতে যান তখন থানা কর্তৃপক্ষ ঘন্টার পর ঘন্টা গড়িমসি করে তাদের নিখোঁজ বা ছিনতাই ডায়েরী দিতে বাধ্য করেন। অতীতের একটি ঘটনায়ও ডাকাত আটক কিংবা অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে উপরোক্ত এলাকার ভিকটিম পরিবার গুলো ক্ষোভের সাথে অভিযোগ তুলেছেন বারবার।



























