
মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী -সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
উল্লাপাড়ায় আপনি প্রথমে সরকারি আকবর আলী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এটা কত সালে এ ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন?এম. আকবর আলী: উল্লাপাড়ায় সরকারি আকবর আলী কলেজটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠা করি। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে উল্লাপাড়ায় বিজ্ঞান কলেজ, ২০০২ সালে মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল প্রতিষ্ঠা করি।
এছাড়া বড়হর স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। আমি এমপি থাকাকালিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উল্লাপাড়া এসে বিজ্ঞান কলেজ উদ্বোধন করেন। চ্যানেল এইচডি : বর্তমানে উল্লাপাড়াকে শিক্ষা নগরী বলা হয় এ ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন?এম. আকবর আলী : রাজশাহী বোর্ডের শ্রেষ্ঠ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল, উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেব খ্যাতি লাভ করেছে।
তাই উল্লাপাড়াকে শিক্ষা নগরী বলা হয়। অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের উন্নত শিক্ষার জন্য এখানে ভর্তি করে থাকেন। এছাড়া এখানে আবাসিক হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে পড়ালেখা করতে পারে।
আপনি অনেক দিন উল্লাপাড়ায় আসেননি এই সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন? এম. আকবর আলী: যেহেতু আমি দীর্ঘদিন উল্লাপড়ায় ছিলাম না তাই এতদিনে উল্লাপাড়ায় শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ ১৫ বছর যাদের দ্বারা কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা শিক্ষা প্রধান মনে না করে বাণিজ্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এমপির পিএসগণ ঘুরে দিয়ে তারাই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়েছেন। এতে শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
এখন অন্তর্বর্তীকালিন সরকার ক্ষমতায় আগামীতে সুন্দর একটা নির্বাচন হবে আপনি অংশ নিবেন কিনা? নিলে বিজয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী? এম. আকবর আলী: যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় মাঠের অবস্থা যদি ভালো থাকে তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নিব। উল্লাপাড়ায় আমার যে অবদান রয়েছে মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করেছি পুরো উল্লাপাড়ার সাধারণ মানুষ আমাকে ভোট দিবে আমি এমপি নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এম. আকবর আলী: আপনাকেও ধন্যবাদ। উল্লাপাড়া উপজেলার জনসাধারণের পক্ষ থেকে চ্যানেল এইচডি পত্রিকা, খবর সকাল বিকাল পত্রিকা, দৈনিক মানবাধিকার ক্রাইম পত্রিকা, কণ্ঠস্বর টিভি পত্রিকা, সত্যার কণ্ঠস্বর পত্রিকার সাফল্য কামনা করেছি।