০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ঈদগাঁওয়ে স্বর্ণালঙ্কারসহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট

  • প্রকাশের সময় : ০২:২৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 67

মোহাম্মদ সেলিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার

কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তৃতীয়বার সংঘটিত হয়েছে দুর্ধর্ষ ডাকাতি। এ সময় স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকা এখন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনযাপন করছে এবং ধারাবাহিক ডাকাতি জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড, পূর্ব নাপিতখালী চাকার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, এলাকার ফজল করিমের ছেলে শাহাব উদ্দিন ও তার ভাই মৃত রফিকের দালান ঘরের জানালার গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে সশস্ত্র ডাকাতদল।ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় এবং তাদের মারধর করা হয়। ডাকাতরা ঘরে থাকা আলমিরা ও স্যুটকেস ভেঙে ৯ ভরি স্বর্ণ, নগদ দুই লাখ টাকাসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মূল্যমানের জিনিসপত্র লুট করে। এরপর তারা মাইক্রোযোগে মহাসড়ক হয়ে চকরিয়ার দিকে চলে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সালাহ উদ্দিন বাবুল নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার তাঁকে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানিয়েছে যে, ডাকাতরা সশস্ত্র ছিল এবং পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। ইউপি সদস্য জানান, এমন ধারাবাহিক ডাকাতি এলাকার সাধারণ মানুষকে ভীত ও নিরাপত্তাহীন করেছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মছিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, “ঘরের গ্রীল কেটে ডাকাতি ঘটেছে এবং আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছি। তবে এটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা এবং স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

এ ঘটনায় জনমনে ভয় এবং আতঙ্কের ছায়া বিস্তার করেছে। উল্লেখ্য, থানার অর্ধকিলোমিটারের মধ্যে গত ৩০ আগস্ট প্রবাসী মুবিনের বাড়িতে ব্যর্থ ডাকাতির চেষ্টা হয়। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর প্রবাসী কালু ও ওসমানের ঘরে সশস্ত্র ডাকাতি সংঘটিত হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এসব ঘটনার পরও থানা প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

স্থানীয়রা বলছেন, থানা প্রশাসনের উদাসীনতা এবং ধারাবাহিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। তারা আরও জানান, প্রতিদিনই এলাকায় অচেনা ব্যক্তিদের ঘোরাফেরা লক্ষ্য করা যায়, যা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানিয়েছে, ডাকাতরা পুরো পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। পরিবার সদস্যরা বলেন, রাতের আধারে ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যদি প্রশাসন সক্রিয় না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও গুরুতর অপরাধ ঘটতে পারে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, একের পর এক ডাকাতি এলাকায় নিরাপত্তার অপ্রতুলতা এবং প্রশাসনের তৎপরতার অভাবে সংঘটিত হচ্ছে। তারা মনে করছেন, পুলিশ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনযাপন করতে বাধ্য হবে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্কের ছায়া বিরাজ করছে। সচেতন জনগণ মনে করছেন, থানা প্রশাসনের অবহেলা ও নির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্রমেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।

এ পর্যন্ত, স্থানীয়রা থানার প্রতি তাদের ক্ষোভ জানিয়েছেন এবং দাবী করেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

জনপ্রিয়

২০১৮ সালে সংসদে যাওয়া দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল

ঈদগাঁওয়ে স্বর্ণালঙ্কারসহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট

প্রকাশের সময় : ০২:২৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোহাম্মদ সেলিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার

কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তৃতীয়বার সংঘটিত হয়েছে দুর্ধর্ষ ডাকাতি। এ সময় স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকা এখন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনযাপন করছে এবং ধারাবাহিক ডাকাতি জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড, পূর্ব নাপিতখালী চাকার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, এলাকার ফজল করিমের ছেলে শাহাব উদ্দিন ও তার ভাই মৃত রফিকের দালান ঘরের জানালার গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে সশস্ত্র ডাকাতদল।ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় এবং তাদের মারধর করা হয়। ডাকাতরা ঘরে থাকা আলমিরা ও স্যুটকেস ভেঙে ৯ ভরি স্বর্ণ, নগদ দুই লাখ টাকাসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মূল্যমানের জিনিসপত্র লুট করে। এরপর তারা মাইক্রোযোগে মহাসড়ক হয়ে চকরিয়ার দিকে চলে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সালাহ উদ্দিন বাবুল নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার তাঁকে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানিয়েছে যে, ডাকাতরা সশস্ত্র ছিল এবং পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। ইউপি সদস্য জানান, এমন ধারাবাহিক ডাকাতি এলাকার সাধারণ মানুষকে ভীত ও নিরাপত্তাহীন করেছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মছিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, “ঘরের গ্রীল কেটে ডাকাতি ঘটেছে এবং আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছি। তবে এটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা এবং স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

এ ঘটনায় জনমনে ভয় এবং আতঙ্কের ছায়া বিস্তার করেছে। উল্লেখ্য, থানার অর্ধকিলোমিটারের মধ্যে গত ৩০ আগস্ট প্রবাসী মুবিনের বাড়িতে ব্যর্থ ডাকাতির চেষ্টা হয়। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর প্রবাসী কালু ও ওসমানের ঘরে সশস্ত্র ডাকাতি সংঘটিত হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এসব ঘটনার পরও থানা প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

স্থানীয়রা বলছেন, থানা প্রশাসনের উদাসীনতা এবং ধারাবাহিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। তারা আরও জানান, প্রতিদিনই এলাকায় অচেনা ব্যক্তিদের ঘোরাফেরা লক্ষ্য করা যায়, যা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানিয়েছে, ডাকাতরা পুরো পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। পরিবার সদস্যরা বলেন, রাতের আধারে ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যদি প্রশাসন সক্রিয় না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও গুরুতর অপরাধ ঘটতে পারে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, একের পর এক ডাকাতি এলাকায় নিরাপত্তার অপ্রতুলতা এবং প্রশাসনের তৎপরতার অভাবে সংঘটিত হচ্ছে। তারা মনে করছেন, পুলিশ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনযাপন করতে বাধ্য হবে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্কের ছায়া বিরাজ করছে। সচেতন জনগণ মনে করছেন, থানা প্রশাসনের অবহেলা ও নির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্রমেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।

এ পর্যন্ত, স্থানীয়রা থানার প্রতি তাদের ক্ষোভ জানিয়েছেন এবং দাবী করেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।