০৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের জাতীয় কাউন্সিল সম্পন্ন

  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • 102

গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির

আহলে সূন্নাত ওয়াল জামাআত জাতীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন- বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র। তথাপি এদেশে মুসলিম বিদ্বেষী অপশক্তির আধিপত্য দৃশ্যমান হয় অত্যন্ত কদর্যভাবে। সর্বত্র ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকলেও এক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বাক ও উদাসীন। জাতীয় নীতি- নির্ধারণসহ রাষ্ট্রীয় যে কোন বিষয়ে বাতিল অপশক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হলেও সূফিবাদী ঘরানার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত উপেক্ষিত যা অত্যন্ত দূঃখজনক। এধরণের বৈষম্য হেতু রাষ্ট্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে বলে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন- দেশে জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে সন্ত্রাস, লুটতরাজ, মব জাস্টিজ, চাঁদাবাজির মতো ইত্যাকার অবাঞ্ছিত কর্মকাণ্ড। থামছেই না মসজিদ, মাদরাসা, মাজার ও মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, ভাংচুর তথা অগ্নিসংযোগের মতো গর্হিত অপরাধ প্রবনতা। ৫ আগস্ট পরবর্তী এক বছরে প্রায় শতাধিক মাজারে হামলা-ভাংচুর হয়েছে। যা ৫৫ বছরের এদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ম্লান করে দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন- একটি মহল ইসলামী খোলসে মুসলমানদের মধ্যে অবাঞ্ছিত বিভাজন তৈরি করছে। ইসলামের নাম ব্যবহার করে মুসলমানদের পবিত্র ম্যান্ডেট ছিনতাই করার পাঁয়তারা করছে। এছাড়া সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ পাচার রোধ এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবি জানানোসহ কাউন্সিলে ২৩ দফা দাবি সম্বলিত একটি ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে অদ্য ২৩ আগস্ট ‘২৫ ইং শনিবার সকাল ১০ টায় ঢাকা রমনাস্থ ইন্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
পীরে তরিকত আলহাজ সাঈফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী ওয়াল হুসাইনী মাইজভাণ্ডারী্র সভাপতিত্বে ও পীরে তরিকত শেখ আল্লামা সিরাজ নগরীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, আবুল কাশেম ফযলুল হক, মাওলান আ ন ম মাসুদ হোসাইন আল-কাদেরী ও গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিকের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন , আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদী, আল্লামা এম এ মতিন, শাইখুল হাদীস কাজী মোহাম্মদ মুঈন উদ্দীন আশরাফী, ড. শাহ আব্দুল্লাহ আল মারুফ শাহ, পীর সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, পীর আল্লামা আবুল কাশেম নুরী, অধ্যক্ষ আবুল ফারাহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, শাইখ মুফতি শফিউল আলম নিজামী, অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ, অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবায়ের, শাইখ আবু সুফিয়ান আবেদী খান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আল্লামা জসিম উদ্দিন আল আজহারী, অধ্যক্ষ এস এম ফরিদ উদ্দীন, অধ্যক্ষ ইবরাহীম আখতারী, স ম হামেদ হোসাইন, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, ড. ইসমাইল নোমানী, পীর গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী, শেখ শিব্বির আহমদ সিরাজনগরী, ড. মুহাম্মদ আব্দুল অদুদ, মাওলানা মোশাররফ হোসেন হেলালী, এম সোলায়মান ফরিদ, পীরে তরিকত এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খলিলুর রহমান নিজামী, পীর হারুনুর রশিদ রেজভী, অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মুফতি মাহমুদুল হাসান আলকাদেরী, পীর আব্দর রহমান আলকাদেরী, এডভোকেট ইকবাল হাসান, এডভোকেট সৈয়দ মোখতার আহমদ সিদ্দিকী, মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, এম মহিউল আলম চৌধুরী হালিম, মুহাম্মদ ইবরাহীম, এম ওয়াহেদ মুরাদ, এস এম তারেক হোসাইন, মুহাদ্দিস গোলাম মোস্তফা শাহ,মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, ফিরোজ আলম খোকন, মাহমুদুল হাসান আনছারী, এস এম তারেক হোসাইন, মুহাম্মদ আখতার হোসেন চৌধুরী, পীরজাদা মাওঃ শেখ সাদী আবদুল্লাহ,আবু নাসের মোহাম্মদ মুসা, মুহাম্মদ অলিউর রহমান, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী ও শাহেদুল আলম প্রমুখ।

শেষে শাইখুল হাদীস কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দীন আশরাফীকে চেয়ারম্যান,পীর আল্লামা আবুল কাশেম নুরীকে নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মারুফ শাহকে মহাসচিব এবং পীর আল্লামা গিয়াসউদ্দিন তাহেরীকে সাংগঠনিক সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়। শেষে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে জাতীয় কাউন্সিল সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

 

জনপ্রিয়

রাষ্ট্র কাঠামো পূর্ণগঠনে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের জাতীয় কাউন্সিল সম্পন্ন

প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির

আহলে সূন্নাত ওয়াল জামাআত জাতীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন- বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র। তথাপি এদেশে মুসলিম বিদ্বেষী অপশক্তির আধিপত্য দৃশ্যমান হয় অত্যন্ত কদর্যভাবে। সর্বত্র ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকলেও এক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বাক ও উদাসীন। জাতীয় নীতি- নির্ধারণসহ রাষ্ট্রীয় যে কোন বিষয়ে বাতিল অপশক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হলেও সূফিবাদী ঘরানার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত উপেক্ষিত যা অত্যন্ত দূঃখজনক। এধরণের বৈষম্য হেতু রাষ্ট্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে বলে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন- দেশে জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে সন্ত্রাস, লুটতরাজ, মব জাস্টিজ, চাঁদাবাজির মতো ইত্যাকার অবাঞ্ছিত কর্মকাণ্ড। থামছেই না মসজিদ, মাদরাসা, মাজার ও মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, ভাংচুর তথা অগ্নিসংযোগের মতো গর্হিত অপরাধ প্রবনতা। ৫ আগস্ট পরবর্তী এক বছরে প্রায় শতাধিক মাজারে হামলা-ভাংচুর হয়েছে। যা ৫৫ বছরের এদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ম্লান করে দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন- একটি মহল ইসলামী খোলসে মুসলমানদের মধ্যে অবাঞ্ছিত বিভাজন তৈরি করছে। ইসলামের নাম ব্যবহার করে মুসলমানদের পবিত্র ম্যান্ডেট ছিনতাই করার পাঁয়তারা করছে। এছাড়া সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ পাচার রোধ এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবি জানানোসহ কাউন্সিলে ২৩ দফা দাবি সম্বলিত একটি ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে অদ্য ২৩ আগস্ট ‘২৫ ইং শনিবার সকাল ১০ টায় ঢাকা রমনাস্থ ইন্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
পীরে তরিকত আলহাজ সাঈফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী ওয়াল হুসাইনী মাইজভাণ্ডারী্র সভাপতিত্বে ও পীরে তরিকত শেখ আল্লামা সিরাজ নগরীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, আবুল কাশেম ফযলুল হক, মাওলান আ ন ম মাসুদ হোসাইন আল-কাদেরী ও গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিকের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন , আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদী, আল্লামা এম এ মতিন, শাইখুল হাদীস কাজী মোহাম্মদ মুঈন উদ্দীন আশরাফী, ড. শাহ আব্দুল্লাহ আল মারুফ শাহ, পীর সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, পীর আল্লামা আবুল কাশেম নুরী, অধ্যক্ষ আবুল ফারাহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, শাইখ মুফতি শফিউল আলম নিজামী, অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ, অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবায়ের, শাইখ আবু সুফিয়ান আবেদী খান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আল্লামা জসিম উদ্দিন আল আজহারী, অধ্যক্ষ এস এম ফরিদ উদ্দীন, অধ্যক্ষ ইবরাহীম আখতারী, স ম হামেদ হোসাইন, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, ড. ইসমাইল নোমানী, পীর গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী, শেখ শিব্বির আহমদ সিরাজনগরী, ড. মুহাম্মদ আব্দুল অদুদ, মাওলানা মোশাররফ হোসেন হেলালী, এম সোলায়মান ফরিদ, পীরে তরিকত এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খলিলুর রহমান নিজামী, পীর হারুনুর রশিদ রেজভী, অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মুফতি মাহমুদুল হাসান আলকাদেরী, পীর আব্দর রহমান আলকাদেরী, এডভোকেট ইকবাল হাসান, এডভোকেট সৈয়দ মোখতার আহমদ সিদ্দিকী, মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, এম মহিউল আলম চৌধুরী হালিম, মুহাম্মদ ইবরাহীম, এম ওয়াহেদ মুরাদ, এস এম তারেক হোসাইন, মুহাদ্দিস গোলাম মোস্তফা শাহ,মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, ফিরোজ আলম খোকন, মাহমুদুল হাসান আনছারী, এস এম তারেক হোসাইন, মুহাম্মদ আখতার হোসেন চৌধুরী, পীরজাদা মাওঃ শেখ সাদী আবদুল্লাহ,আবু নাসের মোহাম্মদ মুসা, মুহাম্মদ অলিউর রহমান, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী ও শাহেদুল আলম প্রমুখ।

শেষে শাইখুল হাদীস কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দীন আশরাফীকে চেয়ারম্যান,পীর আল্লামা আবুল কাশেম নুরীকে নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মারুফ শাহকে মহাসচিব এবং পীর আল্লামা গিয়াসউদ্দিন তাহেরীকে সাংগঠনিক সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়। শেষে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে জাতীয় কাউন্সিল সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।